‘কর্তৃত্ব নয় সেবা করার জন্য এসেছি’

‘কর্তৃত্ব নয় সেবা করার জন্য এসেছি’

জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, ‘আমি কর্তৃত্ব করার জন্য আসিনি। জাপার সেবা করার জন্য এসেছি, সবার মতামতের ভিত্তিতে জাপাকে এগিয়ে নিতে চাই।’

সোমবার (৬ মে) রাজধানীর বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে জাতীয় যুব সংহতি আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি জাপার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনোনীত হওয়ায় এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
জি এম কাদের বলেন, ‘যারা ত্যাগ স্বীকার করে সেই মানুষগুলোকে নিয়ে দল চালাতে চাই। হঠাৎ করে কেউ এলো, দলে বড় পদ দেয়া হলো। আমি মনে করি এটা দেশ ও দলের জন্য মঙ্গলকর হতে পারে না। অনেক ক্ষেত্রে যেটা লক্ষ্য করেছি। কিন্তু বিশেষ সময়ে বিশেষ কিছু হতে পারে। তবে এটা প্রচলিত নিয়ম হতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘রাজনীতি অনেক ক্ষেত্রে ব্যবসার মতো হয়েছে, অনেকটা জমিদারির মতো বংশ পরম্পরার সম্পদ। আমি কিন্তু সেভাবে আসিনি। বড় জায়গায় যাওয়া মানে মানুষের জন্য ততবেশি কাজ করার সুযোগ। ততবেশি সেবা করার সুযোগ।’

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘কোথা থেকে কী হয়েছে, কোথা থেকে পয়সা এসেছে, মহাসচিবের খুব বেশি ভূমিকা পালনের সুযোগ ছিল না। পার্টির চেয়ারম্যান সিদ্ধান্তে একমত আছি। নিজেদের মধ্যে কানামাছি খেলার সুযোগ নেই।’

তিনি বলেন, ‘আগামীতে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হতে পারে জাপা। সম্ভাবনাময় দল হচ্ছে জাপা। আমাদের কোনো বিতর্ক থাকলে দলীয় ফোরামে আলোচনা করব। কিন্তু এরশাদের সিদ্ধান্তে বিরোধীতা করার সুযোগ নেই। কাউকে বাদ দিয়ে নয়, সবাইকে নিয়ে দল করতে হবে।’

জাপা মহাসচিব বলেন, ‘আমি নির্বাচনের কয়েকদিন আগে দায়িত্ব পেয়েছি। প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় একদিন হাজত খাটতে হয়েছে। হাজত মানে কারাগার নয়, ধরেন আমাকে বলা হলো এখানে বসে থাকতে হবে। এ রকম পরিস্থিতিরর মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।’

প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূইয়া বলেন, ‘জাপার নেতাকর্মীরা এরশাদের সিদ্ধান্তে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। আমার বিশ্বাস জীবিত এরশাদের চেয়ে মৃত এরশাদ বেশি শক্তিশালী হবে। সে কারণে অন্যকিছু ভাববার সুযোগ নেই।’

যুব সংহতির সভাপতি আলমগীর শিকদার লোটন সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ‘যারা পার্টির সাইনবোর্ড বিক্রি করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করার সময় এসেছে। হঠাৎ এসে একটা লোক প্রেসিডিয়াম সদস্য হবে, হঠাৎ এমপি হবে এটা ঠেকাতে হবে।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, মাসুদা এম রশীদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান সরদার শাজাহান, উপদেষ্টা নাজমা আক্তার, যুগ্ম মহাসচিব হাসিবুল ইসলাম জয়, কেন্দ্রীয় নেতা সোলায়মার সানি প্রমুখ।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.