ঢাকা : আজ তিন দিনের এক সরকারি সফরে চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী লিউ ইয়ানডং ঢাকায় আসছেন।
রোববার বিকেলে ঢাকায় এসে পৌঁছাবেন তিনি।
বাংলাদেশের সঙ্গে উচ্চতর রাজনৈতিক পর্যায়ে যোগাযোগ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যেই মূলত চীনের ক্ষমতাধর এই নারী রাজনীতিবিদ এ সফরে আসছেন।
ঢাকায় বিকেলে পৌঁছার পর তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। লিউ ইয়ানডং বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার অংশ হিসেবে সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে চান বলে জানা গেছে।
আর এজন্য সফরকালে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্ধ ডজন সমঝোতা স্মারক সই হবে। দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বছরব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্যে চীনের সবচেয়ে প্রভাবশালী নারী রাজনীতিবিদের এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
লিউ ইয়ানডং বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে এই সফরে আসছেন। এটি এশিয়ায় তার দুই দেশ- বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া সফরের অংশ। ২৬ মে তিনি জাকার্তার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। ৩১ মে পর্যন্ত তার ইন্দোনেশিয়া সফর করার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশে উপ-প্রধানমন্ত্রী কিংবা সমমর্যাদার পদ না থাকায় সফরকালে কোনো আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হচ্ছে না। তিনি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে পৃথকভাবে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আজকের বৈঠকেই দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে মূল আলোচনা হবে।
লিউয়ের এবারের সফরকালে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে যে ছয়টি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে, তার তিনটি সরকারি খাতের এবং অবশিষ্ট তিনটি স্মারক সই হবে বেসরকারি খাতে। সরকারিভাবে যে তিনটি স্মারক সই হবে সেই খাতগুলো হল- শিক্ষা, তথ্য এবং শুল্ক খাত। বেসরকারি খাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে সমঝোতা স্মারক সই হবে।
চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের চলতি বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে। সেই সফরের আগে লিউয়ের এবারের সফর একটি প্রস্তুতিমূলক সফর বলে মনে করা হচ্ছে।
সেপ্টেম্বরে চীনের প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে বাংলাদেশের কয়েকটি বড় প্রকল্প চীনের অর্থায়ন ঘোষণার কথা রয়েছে। সেসব প্রকল্পের মধ্যে চীনা প্রধানমন্ত্রীর কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে একটি টানেল নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।