ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে ইসলামাবাদকে সতর্ক করেছে বেইজিং।
দেশটির এক্সপ্রেস ট্রিবিউন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন উচ্চপদস্থ পাকিস্তানি নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশিত করেছে।
পাকিস্তান-চীন অর্থনৈতিক করিডোরের সন্দেহজনক রুট পরিবর্তন নিয়ে দেশটিতে যখন অসন্তোষ ধূমায়িত হচ্ছে তখন এ হুঁশিয়ারি দিল চীন।
বেলুচিস্তান প্রদেশের ভেতর দিয়ে পাক-চীন অর্থনৈতিক করিডোরের ৩ হাজার কিলোমিটার রুট চলে গেছে হুঁশিয়ারি বার্তায় বলা হয়েছে। ফলে প্রদেশটিতে তৎপর সন্ত্রাসীরা নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে।
এ নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, পাকিস্তানের শত্রুভাবাপন্ন অনেক গোয়েন্দা সংস্থা নাশকতামূলক তৎপরতা চালানোর জন্য বেলুচিস্তানে তৎপর সন্ত্রাসীদের কাজে লাগাতে পারে।
এ প্রকল্পে ‘র’ নাশকতামূলক তৎপরতা চালানোর চেষ্টা করবে এমন উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাকিস্তান বৈরী গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে ‘র’ একযোগে কাজ করছে বলে ইসলামাবাদকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে বেইজিং।
পাকিস্তান-চীন অর্থনৈতিক করিডোর প্রকল্পে ১৫ হাজারের বেশি চীনা কর্মী কাজ করছেন। এ ছাড়া পাকিস্তানে ২১০টি চীনা প্রকল্পে কর্মরত রয়েছেন আট হাজারের বেশি চীনা কর্মী।
গোয়াদর প্রকল্পের নিরাপত্তার জন্য ৯ ব্যাটেলিয়ন অর্থাৎ ৮ হাজারের বেশি সেনা সদস্য নিয়ে বিশেষ নিরাপত্তা বিভাগ গঠন করা হয়েছে। এছাড়া আধা সামরিক বাহিনীগুলোর প্রায় ৯ হাজার সদস্য নিয়ে গঠিত আরো একটি বাহিনী সেনাদের এ কাজে সহায়তা করবে।
এপ্রিল মাসে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ইসলামাবাদ সফরকালে ২,৮০০ কোটি ডলারের ৫০টির বেশি চুক্তি সই করেছে পাকিস্তান ও চীন। এসব চুক্তির বেশিরভাগই পাকিস্তানের বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানিগুলোকে ঋণ দেয়া সংক্রান্ত হলেও এর মধ্যে ছয়টি রয়েছে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। এসব প্রকল্প চীনের পশ্চিমাঞ্চলকে পাকিস্তানের গোয়াদর বন্দরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী পূর্বাঞ্চলীয় বাণিজ্যিক করিডোরের কাজকে ত্বরান্বিত করবে। আগামী বছরের শেষ নাগাদ এ করিডোরকে ব্যবহার উপযোগী করে তুলতে চায় চীন।