এভিয়েশন নিউজ: বিলম্বে হলেও বিদেশী পর্যটকদের শাহ্জালাল বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পর্যটন খাতের লক্ষ্য অর্জনে নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে শাহ্জালালে বসানো হচ্ছে বিশেষ বুথ। কোন বিদেশী নাগরিক দেখা মাত্রই তাদের বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সম্পর্কে তাৎক্ষণিক ব্রিফ করার মতো একটি ওয়ানস্টপ সার্ভিস সেন্টার চালু করা হচ্ছে বলে জানান ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান আখতার কবির খান।
পর্যটন বিশেষজ্ঞরা জানান, পর্যটকদের আকৃষ্ট করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে বিমানবন্দরের ক্যাম্পেন। পৃথিবীর সব দেশের বিমানবন্দরেই বিদেশী নাগরিকদের আকৃষ্ট করার জন্য ট্যুরিজম বুথ থাকে। বিমানবন্দর থেকেই অতিথিদের পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়। তার পর তাদের ট্যুরিজম বুথের গাড়িতেই নিরাপদে পৌঁছে দেয়া হয় শহরের হোটেলে। সরকারী-বেসরকারী দুই উদ্যোগেই অতিথিদের উদ্বুদ্ধ করা হয়। অথচ পর্যটনের বিপুল সম্ভবনার বাংলাদেশের বিমানবন্দরে এ ধরনের কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের একটামাত্র বুথ নামকাওয়াস্তে শাহ্জালাল বিমানবন্দরে চালু করা হলেও সেটা নিষ্ক্রিয় থাকছে অধিকাংশ সময়। গত বুধবার সন্ধ্যায় শাহ্জালাল বিমানবন্দরে গিয়ে বুথটি বন্ধ থাকতে দেখা যায়। এ ব্যাপারে পাশের একটি ব্যাংক কাউন্টার থেকে জানানো হয়- এ বুথ বন্ধ থাকা আর না থাকা একই। খোলা থাকলেও কর্মরতদের বিদেশী অতিথিদের সঙ্গে কথা বলা বা তথ্য সেবা দিতে দেখা যায় না। বিমানবন্দরে ট্যুরিস্ট বুথ সম্পর্কে টোয়াব সভাপতি তৌফিক উদ্দিন আহমেদ বলেন, নেপালের ছোট একটা দেশ কয়েকটা পাহাড় দেখিয়ে সারাবছরের বাজেটের টাকা আয় করছে। নেপাল বিদেশীদের টানার ব্যবস্থা নিয়েছে।
কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গে চোখে পড়ে আকর্ষণীয় এভারেস্টসহ ৭টি পাহাড়ের বিশাল বিশাল বিলবোর্ড। কোন পাহাড়ে কিভাবে যেতে হয়, কোথায় নিরাপদে থাকা খাওয়া যায়, কোথায় চিত্তবিনোদন করা যায়, সব তথ্য পাওয়া যায় বিমানবন্দরের ওয়ানস্টপ বুথে। বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অতিথিদের নেয়ার জন্য থাকে স্ট্যান্ডবাই গাড়ি। ট্যুরিস্টদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও সেবা নিশ্চিত করা হয়।