ঈদ কেনাকাটায় টাকা কম দেয়ায় ছেলে পিটিয়ে মারলো মাকে।
রাজশাহীর তানোরে নিজ ছেলের লাঠির আঘাতে রোজারত অবস্থায় বয়োবৃদ্ধ মা রহিমা খাতুন (৬৫) মারা গেছেন। এ নিয়ে তানোর থানায় নিহতের স্বামীশামজাত হাজী বাদী হয়ে নিজ পুত্র একরামুল হক (২৭)কে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
আজ সোমবার সকালে নিহত রহিমা খাতুনের লাশ ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।উপজেলার মুন্ডুমালা পৌরশহরের গৌরাঙ্গাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দুপুরে ঈদের কেনাকাটার জন্য রহিমা বেগম ছোট ছেলে আমিরুল হককে দুই হাজার টাকা দেন। আমিরুল মায়ের দেয়া টাকা পেয়ে ঈদের কেনা-কাটা করতে চলে আসেন মুন্ডুমালা বাজারে। এদিকে ছোট ছেলেকে টাকা দেয়ার কথা শুনে বড় ছেলে আব্দুল হক ও মেজো ছেলে একরামুল হক তারাও মায়ের কাছে তিন হাজার করে টাকা দাবি করেন। তার মা তাদেরকে দুই হাজার টাকা দিতে চাইলে তারা নিতে অস্বিকার করে। এ সময় কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে একরামুল একটি মোটা লাঠি দিয়ে তার মায়ের মাথার পিছনে সজোরে আঘাত করলে সেখানেই টলে পড়েন রহিমা বেগম।
পরে প্রতিবেশীরা আহত অবস্থায় রহিমা বেগমকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।হত্যার পর থেকে মূল ঘাতক ছেলে একরামুল হক (২৭) পলাতক রয়েছে। তবে এলাকাবাসীর সহায়তায় অপর দুই ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ থানা হেফাজতে নিয়েছে।নিহত রহিমা বেগমের তিন ছেলে সন্তান রয়েছে। এরা হলেন- আব্দুল হক (২৯), একরামুল হক (২৭) ও আমিরুল হক (১৯)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলাম জানান,মৃত্যুর আগ মুর্হূত পর্যন্ত রহিমা বেগম রোজা অবস্থায় ছিলেন। ঘটনার পর থেকেই মূল আসামী ছেলে একরামুল পলাতক রয়েছে। তাকে ধরতে আমরা জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আর অপর দুই ছেলেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।