কক্সবাজার বিমান বন্দরের নতুন প্যাসেঞ্জার লাউঞ্জ।
কক্সবাজার বিমান বন্দরের রানওয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. নাইম হাসান।
শনিবার বিকেলে কক্সবাজার বিমানবন্দরের নতুন প্যাসেঞ্জার লাউঞ্জ উদ্বোধনকালে তিনি এ নির্দেশ দেন। এর আগে দুপুরে তিনি কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক একেএম সাইদুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন।
এসময় এয়ার ভাইস মার্শাল এম নাইম হাসান বলেন, বিমানবন্দরের রানওয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করতে হবে। উত্তরপূর্বে যে ৩৫০ মিটার অংশে সীমানা দেয়াল নেই সেখানে প্রয়োজনে আনসার সদস্যদের চৌকি বসিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কেউ যেন অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়তে না পারে। কেউ অনুমতি ছাড়া ভেতরে ঢুকলে যথাযত ব্যবস্থা নিতে হবে।
এসময় বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক একেএম সাইদুজ্জামান বলেন, কিছু খাস জমির দখল এখনও বুঝিয়ে দেয়নি জেলা প্রশাসন। সেখানে ৭ থেকে ৮টি ঘরবাড়ি রয়েছে। সেগুলো উচ্ছেদ না হওয়ায় প্রায় ৩৫০ মিটার অংশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ শেষ করা যাচ্ছে না। ফলে ওই অংশটা কিছুটা অরক্ষিতই থাকছে। অন্যপাশে একজন প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি কিছু জায়গা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন। অনেক চেষ্টা করেও এতোদিন সেই জায়গা দখলমুক্ত করা যায়নি।
জবাবে এয়ার ভাইস মার্শাল এম. নাইম হাসান বিষয়টি নিয়ে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে সমাধান খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন।
বৈঠকে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) এয়ার কমডোর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী সুখেন্দু বিকাশ গোস্বামী, কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক একেএম সাইদুজ্জামান, সহকারি প্রকৌশলী তারেক আহমেদসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
কক্সবাজার বিমানবন্দর সূত্র জানায়, ৬ হাজার ৫২০ বর্গফুটের নতুন প্যাসেঞ্জার লাউঞ্জে ৩৫০ আসনসহ অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা যোগ হয়েছে। সম্পূর্ণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত এ প্যাসেঞ্জার লাউঞ্জে নারী-পুরুষের জন্য আলাদা তিনটি টয়লেটও রাখা হয়েছে। এ বিমানবন্দরের পুরনো প্যাসেঞ্জার লাউঞ্জের ধারন ক্ষমতা ছিলো ৮০ জনের। সেটি এখন থেকে কনকোর্স হল ও টিকিট কাউন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হবে।