বাংলাদেশ থেকে শেখার আছে: চীন

bd12চীনের অর্থনৈতিক ও সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ থেকে শেখার আছে বলে মন্তব্য করেছেন সফররত দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী লিও ইয়ানদং।

তিনি বলেন, “বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক ও সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ অনেক ধরনের সফল নীতিমালা গ্রহণ করেছে। চীনও বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে উপকৃত হতে পারে।”

সোমবার দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাত করতে এলে চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সাক্ষাতের সময় লিও ইয়ানদং বলেন, “বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।”

শিরীন শারমিন বলেন, “সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়ে গেছে। মাতৃ মৃত্যুহার হ্রাস, শিশু মৃত্যুহার হ্রাস, নারী শিক্ষার উন্নয়ন, জেন্ডার সমতা প্রভৃতি ক্ষেত্রে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটেছে।”

পোশাক খাতে বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্রও তুলে ধরেন তিনি। “নারীরা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে পোশাক খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাই সরকার তাদের সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ সৃষ্টি, প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রদান, আবাসিক সুযোগ সুবিধাসহও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রদান করে চলেছে।”

স্পিকার বলেন, “দারিদ্র্য বিমোচন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা ও আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও চীনের একসাথে কাজ করার সুযোগ রয়েছে ।”

বাংলাদেশের কৃষি, শিল্প, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নে চীনের সহায়তার কথাও উল্লেখ করেন শিরীন শারমিন। চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী লিও ইয়ানদং রপ্তানি বাণিজ্যসহ সকল প্রকার বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার আশা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

এ সময় চীনের শিক্ষামন্ত্রী জুয়ান গুইরেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী লিউ ঝেনমিং, সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-মন্ত্রী ডিং উই, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিং কিয়াং উপস্থিত ছিলেন

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.