উদ্ধার বাংলাদেশীদের ফেরত পাঠাবে ইন্দোনেশিয়া

bgyhআচেহ প্রদেশ থেকে উদ্ধার করা অভিবাসনপ্রত্যাশী বাংলাদেশীদের ফেরত পাঠাবে ইন্দোনেশিয়া। তবে তার আগে চাকরির সন্ধানেই যে এসব অভিবাসনপ্রত্যাশী বাংলাদেশ ছেড়েছেন, সেটি নিশ্চিত করা হবে। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশীদের আলাদা করা হবে বলে জানান ইন্দোনেশিয়ার সামাজিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী খোফিফা ইন্দর পারাওয়ানসা।

আচেহ প্রদেশের লাংসা শরণার্থীশিবির পরিদর্শনকালে গত রোববার খোফিফা বলেন, ৭২০ জন বাংলাদেশীর পরিচয় নিশ্চিত করা গেছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) তাদের থাকার জন্য একটি জায়গা নির্ধারণ করেছে। দেশে ফেরত পাঠানোর আগে এখানেই অবস্থান করবেন অভিবাসনপ্রত্যাশী এসব বাংলাদেশী।

খোফিফা ইন্দর পারাওয়ানসা বলেন, উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশীরা কাজের সন্ধানেই এসেছেন। এ কারণেই তাদের ফেরত পাঠানো হবে। ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস ও আইওএম মিশনপ্রধানের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনাও হয়েছে।

দু-একদিনের মধ্যেই উত্তর সুমাত্রার মেদানে যাওয়ার কথা রয়েছে দেশটির আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রী ইয়াসোন্না লাওলির। তিনি বলেন, যত তাড়াতাড়ি অভিবাসনপ্রত্যাশী এসব বাংলাদেশীকে ফেরত পাঠানো যায়, সে চেষ্টা করা হবে। আইওএম এক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে। ভ্রমণ-সংক্রান্ত কাগজপত্র তৈরি হওয়ার দু-তিনদিনের মধ্যে তাদের জন্য উড়োজাহাজের টিকিটের ব্যবস্থা করা হবে।

ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার হিসাব বলছে, আচেহ প্রদেশে আটকা পড়া রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশীর সংখ্যা বর্তমানে ১ হাজার ৭২২। এর মধ্যে ২৩৮ শিশু ও ২৪৪ জন নারী রয়েছেন। মানব পাচারকারীরা সাগরে ফেলে যাওয়ার পর ১০ থেকে ২০ মের মধ্যে এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়।

সাগরে আটকে পড়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী ও জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার কর্মীদের মোতায়েন করেছে ইন্দোনেশিয়া সরকার। যদিও সংকটের শুরুতে অভিবাসীবাহী নৌকাগুলো ফিরিয়ে দিচ্ছিল দেশটি। এমনকি ভাসতে থাকা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কোনো ধরনের সহায়তা না দেয়ার ব্যাপারে নির্দেশ ছিল জেলেদের ওপর। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যাপক সমালোচনার মুখে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ইন্দোনেশিয়া সরকার।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.