সিজারিয়ানে সন্তান জন্মদানে রয়েছে নানা ঝুঁকি

সিজারিয়ানে সন্তান জন্মদানে রয়েছে নানা ঝুঁকি।

সিজারিয়ানে সন্তান জন্মদানে নানা রকম ঝুঁকি রয়েছে। বাংলাদেশে গত দুই বছরে শিশু জন্মের ক্ষেত্রে সিজারিয়ানের হার বেড়েছে ৫১ শতাংশ। এমন তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’।
অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচার উল্লেখ করে সংস্থাটি জানায়, সিজারিয়ানে সন্তান জন্মদানে পরিবারের বাবা-মায়ের ব্যাপক পরিমাণে খরচের ভার বহন করতে হয়। খবর-বিবিসি।
অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচারের ফলে কি ঘটে?
সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচারের ফলে ইনফেকশন, মাত্রাতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, অঙ্গহানি, জমাট রক্তসহ মায়ের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া মায়েদের সুস্থতা ফিরে পেতে প্রাকৃতিক প্রসবের তুলনায় অনেক দীর্ঘ সময় লাগে।
প্রাকৃতিক নিয়মে শিশুর জন্মের সময় মায়ের প্রসবের পথ দিয়ে বের হওয়ার সময় তার শরীর কিছু ভালো ব্যাকটেরিয়া গ্রহণ করতে পারে। যা শিশুর জন্য খুবই ভালো। আর সিজারিয়ানে সন্তান জন্মদানে সেটার কোনো সুযোগ নেই। এই ব্যাকটেরিয়া শিশুর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। সংস্থাটি বলছে, অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচারের জন্য কিছু অসাধু চিকিৎসক দায়ী, যাদের কাছে সিজারিয়ান একটি লাভজনক ব্যবসা।
বাংলাদেশে সেভ দ্য চিলড্রেনের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর এবং নবজাতক ও মাতৃ-স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. ইশতিয়াক মান্নান বলেন, চিকিৎসকেরা অনেক সময় প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে না গিয়ে অস্ত্রোপচার করতে অনুপ্রাণিত করে।
তিনি বলেন, অস্ত্রোপচার এখন জনপ্রিয়। এই জনপ্রিয়তা এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করেছে যা মায়েরা আরও বেশি এই অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচারের দিকে ঝুঁকছেন।
প্রশিক্ষিত ধাত্রীর অভাব
সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষিত ধাত্রীর প্রয়োজন নিয়েও অনেকে মত প্রকাশ করেন। বিশ্বব্যাপী অনেক দেশেই হাসপাতালেই ধাত্রী নিয়োগের প্রথা রয়েছে।
যেখানে অনেক ক্ষেত্রেই চিকিৎসকের পরামর্শ ও পর্যবেক্ষণে ধাত্রীর দ্বারা শিশুর জন্ম হয়ে থাকে।
বাংলাদেশে প্রশিক্ষিত ধাত্রীর অভাব একটি বড় সমস্যা।
সেভ দ্য চিলড্রেনের হিসেবে, বাংলাদেশে বর্তমানে মাত্র ২৫০০ জন স্বীকৃত ধাত্রী রয়েছেন।
তবে তাদের গবেষণা অনুযায়ী, দেশে ২২ হাজার প্রশিক্ষিত ধাত্রী প্রয়োজন।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.