ঢাকা : তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী সকল প্রার্থীদের শুক্রবারের মধ্যে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছে ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে হবে। এই নিদের্শ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কঠোর ব্যবস্থা নিবে।
বৃহস্পতিবার রির্টানিং কর্মকর্তারা জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যয়ের হিসাব জমা না দিলে নির্বাচনী বিধি অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদ জানান, গেজেট প্রকাশের তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হবে। সে হিসেবে আগামী কাল তার শেষ সময়।
তিনি বলেন, বিজয়ী এবং পরাজিত সব প্রার্থীকে ব্যয়ের হিসাব যথাসময়ে দাখিল করতে হবে। কেউ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দাখিল না করলে সর্বোচ্চ সাত বছরের জেল দেয়ার বিধান রয়েছে।
মেয়র প্রার্থীরা ২০লাখ ভোটার এলাকার জন্য সর্বোচ্চ দেড় লাখ এবং ২০ লাখের বেশি ভোটার এলাকার জন্য সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা ব্যক্তিগতভাবে খরচ করতে পারেন।
এছাড়া ‘নির্বাচনী ব্যয়’ হিসেবে ২০ লাখ ভোটারের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা এবং ২০ লাখের বেশি ভোটার এলাকার জন্য সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করার বিধান রয়েছে।
এক্ষেত্রে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র প্রার্থীরা ব্যক্তিগত খরচসহ সর্বোচ্চ ৫৫লাখ টাকার ব্যয়ের সুবিধা পেয়েছেন। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি ও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের মেয়র প্রার্থীরা পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ের সুবিধা।
অপরদিকে কাউন্সিলর প্রার্থীরা অনধিক ১৫ হাজার ভোটার এলাকার জন্য সর্বোচ্চ ১লাখ ১০ হাজার টাকা, ১৫ হাজার ১থেকে ৩০হাজার ভোটার এলাকার জন্য সর্বোচ্চ দুই লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যায় করার বিধান রয়েছে।
আর ৩০ হাজার এক থেকে ৫০হাজার ভোটার এলাকার জন্য সার্বোচ্চ চার লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং ৫০ হাজার এক থেকে তার বেশি ভোটার এলাকার জন্য সর্বোচ্চ ছয় লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করতে পারেন।