চাকরিচ্যুত ২ ফাস্ট অফিসারকে বাঁচাতে ১৮ ক্যাডেট পাইলট নিয়ে ষড়যন্ত্র!
এভিয়েশন নিউজ: প্রতারণার কারণে কাতার এয়ারওয়েজ থেকে চাকরীচ্যুত বিমানের সাবেক দুই ফাস্ট অফিসারকে গোপনে নিয়োগ দিতেই পাইলট নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল ক্যাপ্টেন শামীম নজরুল। অভিযোগ এই দুই ফাস্ট অফিসার তার ঘনিষ্ট বন্ধু।
মূলত শামীম নজরুলের যোগসাজসে দুই ফাস্ট অফিসার বিমান থেকে ভুঁয়া রিলিজ অর্ডার নিয়ে কাতার এয়ারলাইন্সে চাকরী নিয়েছিল। বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে সম্প্রতি কাতার এয়ারলাইন্স দু‘জনকে চাকরীচ্যুত করে। চাকরী হারিয়ে এখন তারা আবার শামীম নজরুলের শরনাপন্ন হন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মূলত একারণেই ১৮ ক্যাডেট পাইলটকে ট্রেনিং না করিয়ে উল্টো নতুন করে পাইলট নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। শনিবার এই ঘটনাটি বিমানের পরিচালণা পর্যদের সভায় আলোচনা হলে তোপের মুখে পড়েন শামীম সিন্ডিকেট।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিমানের একজন বোর্ড মেম্বার জানান, কথা-বার্তা দেখে মনে হচ্ছে, ক্যাপ্টেন শামীম নজরুল বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তাইতো সামান্য একজন ফাস্ট অফিসার হয়েও সে প্রতিটি এক্সিকিউটিভ পরিচালকের বৈঠক, বোর্ড সাব কমিটির বৈঠক এমনকি কোন কোন বোর্ড মিটিংয়েও উপস্থিত থাকেন।
আর প্রতিটি কাজেই হস্তক্ষেপ, খরবদারিত্ব ও কতৃত্ব করেন। সম্প্রতি মিশর থেকে আনা দুটি বোয়িং ৭৭৭-২০০ এয়ারক্রাফট লীজ নেয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভুমিকা রেখেছে শামীম নজরুল। এখাত থেকে বড় ধরনের কমিশন বাণিজ্যও করেছে ওই সিন্ডিকেট। এছাড়া টেন্ডার ছাড়া জিকাসের ১৫ বছরের পুরনো দুটি বোয়িং ৭৭৭-৮০০ এয়ারক্রাফট আরো ৫ বছরের জন্য রাখার বিষয়েও শামীম নজরুলের হস্তক্ষেপ রয়েছে। তিনি বলেন, শামীন নজরুল আগে এয়ার কন্ডিশন মেশিন (এসি) বিক্রির ডিলার ছিলেন।
পরবর্তীতে ফাস্ট অফিসার হিসাবে বিমানে যোগ দেয় । এক পর্যায়ে অলৌকিক ক্ষমতা বলে শামীম নজরুল এখন বিমানের গডফাদার হয়ে ওঠেন। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ মুলত নিজের বন্ধুদের আবার বিমানে ঢুকাতে ১৮ ক্যাডেট পাইলট নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে শামীম। নিয়ম অনুযায়ী যে কোন বৈমানিককে ট্রেনিং নেয়ার আগে বেশ কিছু শর্ত পুরণ করে মুসলেকা দিতে হয়। এর মধ্যে অন্যতম শর্ত হচ্ছে ট্রেনিং শেষে ৫ বছরের মধ্যে বিমান ছেড়ে অন্য কোথাও যোদ দিতে পারবে না। কিন্তু শামীম নজরুলের ঘনিষ্ট বন্ধু হওয়ায় ওই দুই ফাস্ট অফিসার এসব মুসলেকার তোয়াক্কা না করে কাতার এয়ারলাইন্সে যোগ দেন।
নিয়ম অনুযায়ী যোগদানের আগে তাদেরকে বিমান থেকে রিলিজ অর্ডার (ছাড়পত্র) ও নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু যেহেতু মুসলেকা দিয়েছিল তাই বিমানের প্রশাসন বিভাগ তাদের এনওসি দেয়নি। অভিযোগ এরপরই দুই ফাস্ট অফিসার সহকারী চীফ অব ট্রেনিং ক্যাপ্টেন শামীম নজরুলের যোগসাজসে ভুঁয়া রিলিজ অর্ডার ও ভুঁয়া নো অবজেকশন সার্টিফিকট (এনওসি) তৈরী করে কাতারে জমা দিয়ে চাকরীতে যোগদান করে।
জানা গেছে বিষয়টি ফাঁস হয়ে বিমানের প্রশাসন বিভাগ থেকে দুই অফিসারের বিরুদ্ধে কাতার এয়ারলাইন্সের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। একই সঙ্গে জমা দেয়া রিলিজ অর্ডার ও এনওসি দেখাতে বলা হয়। চিঠি পেয়ে কাতার এয়ারলাইন্স দুই ফাস্ট অফিসারের সব কাগজপত্র পাঠিয়ে দেয় বিমানে। এরপর পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা গেছে সব কাগজপত্র ভুয়া ও জাল জালিয়াতি করে বানানো।
বিষয়টি কাতার এয়ারলাইন্সকে জানানো হলে দুই ফাস্ট অফিসারকে চাকরীচ্যুত করা হয়। জানাগেছে তারা এখন শামীম নজরুলকে ধরে আবার বিমানে ঢুকতে পাঁয়তারা করছে। এদিকে ১৮ ক্যাডেট পাইলটকে গত তিন বছর বসিয়ে রেখে নতুন করে ক্যাডেট পাইলট নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ায় তোলপাড় উঠে বিমানে। শনিবারের পরিচালণা পর্যদের বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
বেশিরভাগ বোর্ড মেম্বার এ ধরনের সিদ্ধান্তকে আÍঘাতি ও অমানবিক বলে উল্লেখ্য করেছেন। তারা বলেছেন, একজন ক্যাডেট পাইলট জন্ম দিতে একটি পরিবারকে কোটি কোটি টাকা খরচ করতে হয়। অনেকে সারাজীবনের সহায়-সম্বল বিক্রি করে সন্তানকে বৈমানিক হিসাবে তৈরী করেন। একজন বৈমানিকের স্বপ্নই হচ্ছে যে কোন ভাল এয়ারলাইন্সে চাকরী করা। কিন্তু একজন সামান্য ফাস্ট অফিসারের কলমের খোঁচায় এতগুলো জীবনের স্বপ্ন মুহুর্তে ধুলিস্যাত হয়ে যাবে এটা কোন রহস্য কিংবা এডভেঞ্চার নয়।
বিমান জেনে শুনে তাদের নিয়োগ দিয়েছে। ৩ বছর পরে এসে কেন বলা হচ্ছে তাদের ফ্লাইং আওয়ার কম! এর জন্য যদি কেউ ক্ষতিপুরণ মামলা করে তাহলে এর দায়দায়িত্ব কে নেবে? শামীম নজরুল নিজে একজন ফাস্ট অফিসার হয়ে এতগুলো ক্যাডেট বৈমানিকের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে কেন? তার নিয়োগ নিয়েও তো প্রশ্ন রয়েছে। সামান্য একজন ফাস্ট অফিসার হয়ে কিভাবে এতবড় একটি পোস্টে নিয়োগ পেল এটাই রহস্যজনকক? একজন সহকারী চিফ অব ট্রেনিং হতে হলে কমপক্ষে ১৫/১৬ বছরের বৈমানিক হওয়ার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
কিন্তু শামীম নজরুলের তা না থাকা শর্তেও কিভাবে এই পোস্টে তিনি নিয়োগ পেলেন? এভিয়েশন নিজউজের কাছে একাধিক বোর্ড মেম্বার এসব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। আগামী বোর্ড মিটিংয়ে তারা ম্যানেজমেন্টের কাছে বিষয়টি জানতে চাইবেন বলেও জানান।
শনিবারের বোর্ড সভায় প্রশ্ন উঠে দেশীয় উদীয়মান ক্যাডেট পাইলটদের ট্রেনিং না করিয়ে তাদের পরিবর্তে বিদেশী পাইলট এনে এই পর্যন্ত বিমানের কত টাকা গচ্চা গেছে তা খতিয়ে দেখার। একই সঙ্গে অবিলম্বে দেশীয় ক্যাডেট পাইলটদের ট্রেনিং করিয়ে তাদের ফ্লাইটে নিয়ে আসার কথাও বলা হয়। পাশাপাশি প্রতারনা করে যে দুই পাইলট কাতার এয়ারলান্সে যোগদান করেছিল তারা যাতে কোনভাবেই বিমানে যোগদান করতে না পারে সেজন্য বিমানের এমডিকে নির্দেশ দেয়া হয়। প্রয়োজনে তাদের ব্ল্যাকলিস্ট করা যায় কিনা সেটাও দেখার জন্য বলা হয়। বিমান বোর্ড চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে গত শনিবার এই বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে জানাগেছে বিমানের বিতর্কিত ফাস্ট অফিসার ও বিতর্কিত নিয়োগ প্রাপ্ত সহকারী চীফ অব ট্রেনিং ক্যাপ্টেন শামীম নজরুলের কারণে দেশীয় ক্যাডেট পাইলটদের বসিয়ে রেখে বিদেশী পাইলট নিয়োগ দেয়ায় বিমানকে গত ৩ বছরে ৫০ কোটি টাকার বেশি অর্থ গচ্চা দিতে হয়েছে। বিমানকে এভাবে ক্ষতির মুখে ফেলার বিষয়টি অবিলম্বে দুদককে (দুনীতি দমন কমিশন) দিয়ে তদন্ত করারও দাবি উঠেছে বিমান থেকে।
অভিযোগ রয়েছে বর্তমানে বাংলাদেশ বিমানে উড়োজাহাজ লীজ, সফটওয়ার ক্রয়, সিমুলেটর ট্রেনিং, জনবল নিয়োগসহ প্রতিটি কাজে শামীম নজরুল জড়িত। এসব খাত থেকে তার সিন্ডিকেট কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সম্প্রতি মিশর থেকে দুটি ৭৭৭-২০০ এয়ারক্রাফট আনার নেপথ্যে কাজ করেছে ফাস্ট অফিসার শামীম নজরুল। অভিযোগ এ খাতে শামীম সিন্ডিকেট কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকা কমিশন নিয়েছে। এছাড়া বোর্ড মিটিংয়ে বাতিল হয়ে যাওয়া দুটি বোয়িং ৭৭৭-৮০০ এয়ারক্রাফটকে আবারো বোর্ডে উপস্থাপনের বিষয়ে নেপথ্যে থেকে কাজ করেছে শামীম নজরুল। জানা গেছে জিকাসের কাছ থেকে এই দুটি বোয়িং ৭৭৭-৮০০ এয়ারক্রাফট নেয়ার সময়ও ব্যাপক দুনীতির আশ্রয় নেয়া হয়েছিল।
জানা গেছে, আরএফপিতে নিধারিত সময়ের পর নতুন করে উড়োজাহাজ দুটি এক্সটেনশন করার বিষয়ে কোন কথা বলা ছিল না। কিন্তু প্ল্যানিং বিভাগের একটি চক্র জিকাস থেকে মোটা অংকের মাসোহারা নিয়ে গোপনে চুক্তি করার সময় মেয়াদ শেষে আরো তিন বছর মেয়াদ বাড়ানো যাবে বলে উল্লেখ করে। যা বিমান ম্যানেজমেন্টও কিছুই জানে না। অভিযোগ উঠেছে মিশরের দুটি এয়ারক্রাফট আনার জন্য ২টি এয়ারবাসকে ২ মাসের জন্য গ্রাউন্ডেট করে ইজিপ্ট এয়ারকে নগদ ৫০ কোটি টাকা দিতে হয়েছে। অভিযোগ আছে এই ৫০ কোটি টাকার একটি বড় অংশ ইজিপ্ট এয়ারলাইন্সের কোষাগারে জমা না হয়ে সেই টাকা কানাডায় পাচার হয়ে গেছে। সংশ্লি ষ্টরা এই অভিযোগটি দুদককে দিয়ে তদন্ত করানোরও দাবি জানান। অভিযোগ রয়েছে বিমানে চাকরী করলেও শামীম নজরুলের সব সহায় সম্পত্তি কানাডায়। তিনি নিজেও একজন কানাডিয়ান নাগরিক।
সূত্র জানায়, ২০১০ সালে বিমানে ২০ জন ক্যাডেট বৈমানিককে নিয়োগ দেয়। এদের মধ্যে প্রথম ব্যাচের ১০ জন হলেন অনিতা রহমান (রোল-২৩), আতায়েব যোবায়ের জাফর (রোল-১৬), সাদাত জামিল (রোল-১০), ইন্তেখাব হোসাইন (রোল-৪৪), মোনজরিন রেয়ান (রোল-৭), মুনতাসির মাহবুব (রোল-২০), আবু মাসফিক (রোল-১), আবদুল হামিদ মেহেদী ( রোল-৩৭), নাসিইব রহমান নাফি (রোল-২২), সারওয়াত সিরাজ অন্তরা (রোল-১৮)।
অপর দিকে দ্বিতীয় ব্যাচের ১০ জন হলেন, মোহাম্মদ শফিকুর রহমান (রোল-৪), মহসিন কামাল (রোল-১৫), এলিশ মাহমুদ ইমরান (রোল-১৪), মন্টি হাসান (রোল-২৫), রিশাখ বিন মনজুর (রোল-২), আরেফিন সাজিদুর রহমান (রোল-১১), সরফরাজ ইয়ামিন (রোল-৪৯), শাহী উদ্দিন আহমেদ ইজাম (রোল-১৯), মুজাহিদুল ইসলাম (রোল-২৮) মনজুরুল ইসলাম।
পরিচালক ফ্লাইট অপারেশন ক্যাপ্টেন ইশরাত আহমেদ স্বাক্ষরিত একটি পত্রে বলা হয়েছে প্রথম ব্যাচের ১০ জনকে বিমানে যোগদান এবং দ্বিতীয় ব্যাচের ১০ জনকে ওয়েটিং ফর ফারদার ডিসিশান হিসাবে রাখা হয়েছে। এরপরই বিমানের ট্রেনিং শাখায় যোগ দেন বিতর্কিত এই ফাস্ট অফিসার ক্যাপ্টেন শামীম নজরুল। নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানাগেছে খোদ বিমান বোর্ডকে পর্যন্ত শামীম নজরুল নিয়োগপ্রাপ্ত ক্যাডেট পাইলটদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের মিথ্যা তথ্য দিয়েছে।
জানা গেছে নিয়োগপ্রাপ্ত ক্যাডেট পাইলটদের ৬ মাসের ট্রেনিং সম্পন্ন হয়। শুধুমাত্র সিমুলেটর ট্রেনিংসহ দুই মাসের ট্রেনিং হলেই এরা ফার্স্ট অফিসার হিসেবে নিয়োগ পাবেন। সেই অবস্থায় ১০ জনের মধ্য থেকে ৪ জনকে সিমুলেটরে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে দুইজন ফেল করে। বাকি দুইজন উত্তীর্ণ হয়ে এরই মধ্যে বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজে ফার্স্ট অফিসার হিসেবে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। অভিযোগ আছে, দুইজন ফেল করেছে বাকিরাও ফেল করবে এই অজুহাত দিয়ে বাকিদের আর সিমুলেটর ট্রেনিংয়ে পাঠানো হয়নি। যদিও ফেল করা দুই ক্যাডেট পাইলটের ফেলের নেপখ্যে বড় ধরনের আন্ডারহ্যান্ড ডিলিংয়ের অভিযোগ আছে। আর এই নেপথ্যে পাইলটের ভুমিকায় কাজ করেছে শামীম।
জানা গেছে, নিয়োগ প্রাপ্ত প্রথম ব্যাচের ৮ ক্যাডেট বৈমানিক সিমুলেটর ট্রেনিং পাঠানোর জন্য পে-অর্ডার দিয়ে যেতে রাজি হন। যদি তারা সিমুলেটর ট্রেনিংয়ে ফেল করেন তাহলে তারা ট্রেনিং বাবদ খরচ হওয়া অর্থ ফেরত দিয়ে বিমান থেকে বিদায় নেওয়ার অঙ্গীকারও করেছিলেন। কিন্তু কোনো কিছুতেই বিমানের কর্তাব্যক্তিদের এই বৈমানিকদের প্রতি মন গলেনি। বিমানের ফ্লাইট অপারেশন পরিচালক ক্যাপ্টেন ইশরাত হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাইলে বসে থাকা এসব ক্যাডেট বৈমানিকেরা এবার আবেদন করতে পারবেন। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তাদের নেওয়া হবে।
বিমান সূত্রে জানা গেছে, বসে থাকা ক্যাডেটদের মধ্যে অনেকেরই ৫০০ ঘণ্টার বেশি ফ্লাইং করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আর এদের প্রত্যেকেরই ১৫০ ঘণ্টা ফ্লাই করার অভিজ্ঞতা আছে। কম ঘণ্টা ফ্লাই করা ক্যাডেটদের ট্রেনিংয়ে ২০ ঘন্টার জায়গায় ২৫/৩০ ঘন্টা এবং ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম করালেই তারা বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজের ফার্স্ট অফিসার হতে পারে। কিন্তু এই ১৮ বৈমানিককে সেই সুযোগ না দিয়ে নতুন করে করে রহস্যজনক কারণে আবারো বিজ্ঞাপন দেওয়া হলো।