ঢাকা: ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর চালানো গণহত্যা ও বর্বরতার জন্য বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাইলেন পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইমদাদুল কাজী।
শুক্রবার (২৯ মে) দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কমরেড অমল সেনের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সেমিনারে তার বক্তৃতার শুরুতেই তিনি ক্ষমা চান।
ইমদাদুল কাজী তার বক্তব্যের শুরুতে বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী সে অন্যায় করেছে তার জন্য আমি লজ্জিত, ক্ষমা চাই। এরপর তিনি বলেন, আমরা দক্ষিণ এশিয়া থেকে জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদ হঠাতে বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে চাই। পাকিস্তানও এ দু’টি প্রধান সমস্যায় জর্জরিত।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এবং বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী কমরেড রাশেদ খান মেনন।
বক্তব্য রাখেন- ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক ও রাজ্যসভার সদস্য সীতারাম ইয়েচুরি, ভারত কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সুরাভরণ সুধাকর রেড্ডি, সর্ব ভারতীয় ফরওয়ার্ড ব্লকের ন্যাশনাল সেক্রেটারি কমরেড শ্যামল রায়, শ্রীলংকার জেপিভি আন্তর্জাতিক বিভাগের সদস্য কমরেড নিলিন্দ জয়তী শাহ, ত্রিপুরা সিপিআইএম’র মেম্বার সেক্রেটারিয়েট কমরেড গৌতম দাস, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা প্রমুখ।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাত।
সীতারাম ইয়েচুরি তার বক্তব্যে বলেন, দক্ষিণ এশিয়া থেকে সব ধরনের উগ্র মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে এক যোগে কাজ করার এখনই সময়। না হলে, এ অঞ্চলের উন্নয়ন, শান্তি ও অগ্রগতি ব্যাহত হবে। আমরা পিছিয়ে যাব। তাই এ সম্মেলনের মাধ্যমে যে কোনো সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমরা একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।
সেমিনারে ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, আমরা সরকারে আছি, ক্ষমতায় নেই। আমরা ক্ষমতা চাইও না, চাই জনগণের উন্নয়ন। যাতে এ দেশের মানুষ ভালোভাবে খেয়েপড়ে বেঁচে থাকতে পারে, আমরা সেটাই চাই। কারণ ক্ষমতা ক্ষণস্থায়ী কিন্তু জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্ব চিরস্থায়ী।