দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় উদ্ভূত অভিবাসন সঙ্কট নিয়ে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে আঞ্চলিক বৈঠক শুরু হয়েছে। শুক্রবারের এই বৈঠকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারসহ ১৭টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন। খবর বিবিসির।
থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তানাসাক পতিমাপ্রগর্নের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বৈঠক শুরু হয়। অবৈধপথে আসা অভিবাসন প্রত্যাশীদের ব্যাপারে স্থায়ী সমাধানে আসার প্রতি জোর দিয়েছেন তিনি।
আসিয়ানভুক্ত (দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট) দেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে মানবপাচারকারীদের নির্মূলের কথাও বলেন তানাসাক।
সম্প্রতি আন্দামান সমুদ্র উপকূলে মানবপাচারকারীদের নৌকা থেকে বাংলাদেশী ও মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় বিদেশ গমনেচ্ছুদের নির্যাতনে ব্যবহৃত শিবির এবং লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এ বৈঠকের আহ্বান করা হয়েছে।
বৈঠকে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কম্বোডিয়া, লাওস, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, নিউজিল্যান্ড, পাপুয়া নিউগিনি, শ্রীলঙ্কা, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও ইরানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত রয়েছেন। এ ছাড়া পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও সুইজারল্যান্ড।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা, মাদক ও অপরাধ বিষয়ক সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার প্রতিনিধিরাও উপস্থিত রয়েছেন।
এর আগে সাগরে ভাসা বিদেশগামীদের ত্রাণ সরবরাহে সম্মত হয় থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। এর মধ্যে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া বিদেশগামীদের সাময়িক আশ্রয় প্রদানেরও ঘোষণা দিয়েছে।