ব্রেক্সিটে শঙ্কায় বাংলাদেশিরা!

ব্রেক্সিটে শঙ্কায় বাংলাদেশিরা!

যুক্তরাজ্যে এখন নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের লড়াই চলছে। পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়া ব্রেক্সিট নিয়েও উত্তাল দেশটি।

ব্রিটেনে বসবাস করা অভিবাসীদের ওপর তার নেতিবাচক প্রভাবও পড়ছে। বড় বড় কোম্পানিগুলো যুক্তরাজ্য থেকে তাদের হেড অফিস অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। বিশেষকরে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তারা সরে যাচ্ছে।গত তিন বছরে ব্রিটেনের বহু প্রতিষ্ঠান তাদের আকার সীমিত করে আনায় অনেক বাংলাদেশি প্রবাসীও চাকরি হারিয়েছেন।

যুক্তরাজ্যের নব্বই শতাংশ নিত্যপণ্য ইউরোপ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে। কিন্তু ইউরোর সঙ্গে পাউন্ডের দামের তারতম্য কমে যাওয়ায় কয়েক দফা দাম পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজারে।এতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সেখানে বসবাসরত বাংলাদেশিদের।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার পর সেই দুর্ভোগ আরও চরম আকার ধারণ করবে। কারণ ইউরোপীয় আইন আদালত তখন বহাল থাকবে না। ব্রিটেনের প্রবাসী বাংলাদেশিরাও হারাবে তাদের একটি রক্ষাকবচ।

হা‌বিব সন্স ক্যা‌পিটা‌লের প্রধান কৌশলী আহমেদ হুমায়ূন হাবীব মনে করেন, ব্রে‌ক্সিট বি‌শ্ব রাজনী‌তি‌তে ব্রি‌টে‌নের ক্ষমতা‌ খর্ব কর‌বে।

তার মতে, পরবর্তী ১০ বছ‌রে এখানকার অর্থনী‌তির আকার দশ থে‌কে প‌নে‌রো শতাংশ ছোট হ‌বে। যার ফল ভোগ কর‌বে সাধারণ মানুষ। সে কার‌ণে ব্রে‌ক্সিট দীর্ঘ‌মেয়া‌দে ব্রি‌টে‌নের জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারবে না।

দেশটিতে তিন দশক ধরে বসবাস করা একজন নারী শিক্ষক ব‌লেন, বৃটিশ আইনে ন্যায়‌বিচার না পে‌লে এখন ইউরো‌পীয় আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার সু‌যোগ আছে। ব্রে‌ক্সি‌টের পর সেই সু‌যোগ শেষ হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়বে। নতুন দেশের সঙ্গে ব্যবসার সুবিধা থাকবে বলা হলেও এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হয়নি।‍‘বাংলাদেশিরা মনে করেছিলেন, তারা বের হলেই দেশ থেকে রেস্তোরাঁ কর্মচারী আনতে পারবেন। আসলে বিষয়টা এতোটা সহজ নয়।’

তার মতে, বাংলাদেশে দক্ষ শ্রমিকদের অভাব রয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশিদের জন্য তেমন সুযোগ আছে বলে মনে করার কিছু নেই। নতুন সম্ভাবনার পথ খুঁজতে হবে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.