মানবপাচার রোধে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে লিয়াঁজো অফিস স্থাপন এবং সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। এদিকে অভিবাসন এবং মানবপাচার নিয়ে বর্তমান সংকট সঙ্কট নিয়ে ব্যাঙ্ককের আঞ্চলিক সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিঃ হক বলেছেন, ওই সম্মেলনে মানবপাচার রোধে বাংলাদেশ সরকার আইন প্রণয়ন এবং তার বাস্তবায়ন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্যোগের মাধ্যমে যেসব ব্যবস্থা নিয়েছে সেগুলো তুলে ধরেছে।
তিনি বলেছেন পাচারকৃত যেসব বাংলাদেশিকে উদ্ধার করে বিভিন্ন জায়গায় রাখা হয়েছে তাদের নাগরিকত্ব সত্যায়িত করার পর দ্রুততম সময়ে বাংলাদেশ সরকার তাদের দেশে ফেরত নিয়ে যাবে বলেও সম্মেলনে অঙ্গীকার করেছে। এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিলো এশিয়ার অভিবাসন সমস্যা মোকাবেলায় সংশ্লিষ্ট সবগুলো দেশের সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ।
মিঃ হক বলছেন বিভ্ন্নি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং জাতিসংঘ মিলে এই সমস্যা সমাধানে একযোগে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন বাংলাদেশ এই ধরণের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক উদ্যোগের সঙ্গে আগেও ছিল এবং এধরনের উদ্যোগকে বাংলাদেশ ভবিষ্যতেও জোরালো সমর্থন জানাবে।
এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যারা মানবপাচারের শিকার হয়ে আটকে পড়েছেন তাদের দ্রুত পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করা এবং দীর্ঘমেয়াদে যে কারণ থেকে এই সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছে সেই কারণটা খুঁজে বের করে তা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া। বাংলাদেশ থেকে অর্থনৈতিক কারণে মানুষ বিপদের ঝুঁকি জেনেও যে দেশ ছাড়ছে তার মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার কী উদ্যোগ নিয়েছে এ প্রশ্নে পররাষ্ট্র সচিব বলেন বাংলাদেশ গত ছয় বছর ধরে ৬.২ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে এবং সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও সফল হয়েছে।
তিনি বলেন ফলে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি। তার ধারণা অর্থনৈতিক উন্নয়ন স্বত্ত্বেও মানুষ যে দেশ ছাড়ছে তার কারণ সম্ভবত দেশের বাইরে এবং সরকার এখন সেই কারণটা খুঁজে বের করার উদ্যোগ নেবে।
মানবপাচার বন্ধে আলোচনায় অংশগ্রহণকারী দেশগেুলোর আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীগুলো যৌথভাবে আরও সম্বন্বিত তৎপরতা চালানোর বিষয়ে একমত হয়েছে বলে মিঃ হক জানিয়েছেন।
তিনি বলেন মানবপাচার চক্রগুলোকে ভেঙে দেওয়া এবং নিয়মিত ও বৈধ অভিবাসনকে উৎসাহিত করার জন্য তারা একযোগে কাজ করবেন।