শেষ পর্যন্ত বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেনি ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ের আদালতে। আদালত পুলিশের পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) প্রথমে জামিন মঞ্জুর হয়েছে বলে জানালেও ঘণ্টাখানেক পর তিনি জানান, জামিন হয়নি।
শুক্রবার বিকালে শিলংয়ের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সালাহ উদ্দিনের পক্ষে করা জামিন আবেদন শুনানি হয়। তিনটি কারণ দেখিয়ে আদালত শেষ পর্যন্ত জামিন নামঞ্জুর করেছেন।
তিন কারণের প্রথমটি হচ্ছে, বাংলাদেশের মাদ্রকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (এনসিবি) দিল্লির এনসিবিকে জানায়, সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে মামলা রয়েছে।তাঁকে জামিন দিলে পালিয়ে যেতে পারেন।
দ্বিতীয়টি হচ্ছে, আদালত লিখিত আদেশে বলেছেন, সালাহ উদ্দিন ভারতে অনুপ্রবেশই করেছেন। এটিই আদালতের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়েছে। এছাড়া, আদালতে সালাহ উদ্দিনের ব্যাপারে প্রতিবেদন দাখিল করেনি পুলিশ।
এসব কারণে বিএনপি নেতার জামিন নামঞ্জুর করা হয় বলে কোর্ট ইন্সপেক্টর প্রসাদ জানান।
প্রসঙ্গত, গত ১০ মার্চ উত্তরা থেকে নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে খোঁজ মেলে সালাহ উদ্দিনের। ১২ মে সালাহ উদ্দিনকে শিলং সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগের দিন তাঁকে উদ্ধার করে একটি মানসিক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
এদিনই বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশ করায় ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী সালাহ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার দেখায় মেঘালয় পুলিশ।