দক্ষিণ চীন সাগরে সেনা পাঠাতে বদ্ধপরিকর যুক্তরাষ্ট্র

kঢাকা: দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যুতে ক্রমেই তিক্ততার পথে এগিয়ে যাচ্ছে মার্কিন-চীন সম্পর্ক। সাগর এলাকায় দুই দেশের বিপরীতমুখী কার্যক্রম সম্পর্কের ফাটল দিন দিন বাড়িয়েই চলেছে। এবার সেখানে সেনা পাঠানোর ব্যাপারে পেন্টাগন বদ্ধপরিকর বলে বেশ জোরেশোরেই জানিয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশটন কার্টার।

নিরাপত্তা বিষয়ে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের বাৎসরিক সাংরি-লা ডায়লগে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশটন কার্টার এ কথা জানান বলে শনিবার (৩০ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়। এই আলোচনায় চীনের সেনা প্রতিনিধিরাও যোগ দিচ্ছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলো।

এসময় দক্ষিণ চীন সাগর অঞ্চলে বেইজিংয়ের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক নিয়মের পরিপন্থি উল্লেখ করে সেখানে কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণসহ যাবতীয় চীনা কার্যক্রম স্থগিতেরও আহ্বান জানান অ্যাশটন কার্টার।

তিনি বলেন, প্রথমত আমরা সকল বিরোধের অবসান ঘটিয়ে একটা শান্তিপূর্ণ নীতিমালা চাই। তবে তার আগে অবশ্যই দক্ষিণ চীন সাগর এলাকায় চলমান বেইজিংয়ের কার্যক্রমগুলোর তাৎক্ষণিক স্থগিত চাই।

প্রশান্ত মহাসাগরের অংশ দক্ষিণ চীন সাগরের মোট আয়তন ৩৫ লাখ বর্গকিলোমিটার। সাগরটির তীরে দাঁড়িয়ে রয়েছে চীন, তাইওয়ান, ব্রুনেই, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনাম। খনিজ সম্পদ সমৃদ্ধ এই সাগরে প্রচুর পরিমাণ তেল ও গ্যাস রয়েছে বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। এছাড়া বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ নৌপরিবহণ এই সাগর দিয়েই হয়ে থাকে। এর ফলে সাগরের ওপর কর্তৃত্বকারী দেশ সবদিক থেকেই সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। এছাড়া এশিয়া মহাদেশে আধিপত্য বিস্তারেও এই সাগর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু বলে মনে করা হয়ে থাকে।

কার্টার বলেন, চীন আরও দুই হাজার একর জায়গা বেশি দাবি করেছে, যা অন্যান্য তীরবর্তী দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি।

তিনি বলেন, চীনের গত ১৮ মাসের কার্যক্রম লক্ষ্য করে এখন বলা কঠিন, তাদের এই আগ্রাসি মনোভাব কোথায় গিয়ে থামবে। তাদের কারণেই দক্ষিণ চীন সাগর এখন উত্তেজনাকর এলাকায় পরিণত হয়েছে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.