এভিয়েশন ডেস্ক : মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক শরণার্থী শিবিরে রয়েছেন কমপক্ষে ৭১৬ জন বাংলাদেশী। এদের পরিচয় প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুত্র একথা জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সোমবার বলেন, মালয়েশিয়ায় শরণার্থী শিবিরে থাকা বাংলাদেশীদের একটি প্রাথমিক তালিকা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিস্তারিত তথ্য নিয়ে এদের পরিচয় যাচাই করে দেখবে। কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তারা শরণার্থী শিবির ঘুরে তালিকাটি তৈরি করেছেন।
সাগর পথে মালয়েশিয়ায় ঢোকার পথে সেদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক শরণার্থীদেরকে মালয়েশিয়ায় শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। অনেক দেনদরবারের পর আন্তর্জাতিক মহলের আহবানে সাড়া দিয়ে দেশটি এ পদক্ষেপ নেয়।
মালয়েশিয়া সীমান্তবর্তী থাইল্যান্ডের জঙ্গলে গতমাসে মানবপাচারকারীদের কয়েকটি আস্তানা ও কবরের সন্ধান মেলার পর বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তোলপাড় চলছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, শরণার্থীরা যে দেশের নাগরিকই হোন না কেন, তাদের প্রতি মানবিক আচরণ করা জরুরি।
থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে কঠোর হওয়ায় পাচারকারীদের ট্রলার বা নৌকা তীরে ভিড়তে পারছে না। খাদ্য সঙ্কটে পড়ে নৌকায় নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে অনেকের মারা যাওয়ার খবরও এসেছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, গত এক মাসে এই তিন দেশ এবং মিয়ানমারে চার হাজারের বেশি মানুষকে সাগর থেকে উদ্ধার করেছে, যারা রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি।
মিয়ানমারে গত কিছুদিনে উদ্ধার প্রায় এক হাজার মানুষের প্রায় সবাই বাংলাদেশি বলে দেশটির সরকার দাবি করছে। তবে মিয়ানমার এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেয়নি জানিয়ে বাংলাদেশ সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে আসছে।