‘নমরুদ-ফেরাউন-হিটলার-আইউব খান টিকেনি, এরাও টিকবে না’

‘নমরুদ-ফেরাউন-হিটলার-আইউব খান টিকেনি, এরাও টিকবে না’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘অন্যায় নির্যাতন নিপিড়ন করে কেউ টিকে থাকতে পারে না। না নমরুদ, না ফেরাউন পেরেছে। না হিটলার, না মুসোলিনী পেরেছে। না আইউব খান, না এরশাদ পেরেছে। এরাও টিকতে পারবে না।

রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের মিলনায়তনে বিএনপির ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপির জন্ম এমন একটি রাজনৈতিক শূন্যতায়, যার সৃষ্টি করেছিল আওয়ামী লীগ। সে কারণেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, যে নির্বাচন আপনারা চুরি করে নিয়ে গেছেন সেই নির্বাচন বাতিল করতে হবে। একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘গতকালও আমি খবর নিয়েছি দেশনেত্রী অত্যন্ত অসুস্থ। তিনি এখন হাঁটতে পারেন না। তাঁর সুগার কমছে না। এ অবস্থায়ও তিনি মাথা নত করেননি। তিনি বার বার একই কথা বলছেন, এই অন্যায়ের বিচার হবে। অন্যায়কারীরা টিকবে না। জনগণ নিশ্চয়ই উঠে দাঁড়াবে, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনবে।’

ফখরুল বলেন, ‘আজকে দুঃখ হয়, কষ্ট হয়, যে দাবি আওয়ামী লীগের ছিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। জনগণের সঙ্গে সম্পূর্ণ প্রতারণা করে ২০১২ সালে তাদের সুবিধামতো সংবিধান পরিবর্তন করে নিয়েছে। কারণ তারা জানে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তারা কোনো দিনই ক্ষমতায় আসতে পারবে না।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেন আলাল, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু প্রমুখ বক্তব্য দেন।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.