মোটা হওয়ায় ফ্যাশন শোতে সুযোগ পাননি সোনাক্ষী সিনহা।
শত্রুঘ্ন-কন্যা সোনাক্ষী সিনহা। বলিউডে আসার আগে তার ওজন ছিল ৯৫ কেজি। এ কারণে কম কটু কথা শুনতে হয়নি তাকে। তবে তিনি হাল ছাড়েননি। ৩০ কেজি ওজন কমিয়ে তারপর বলিউডে নাম লেখান ‘দাবাং’ ছবির এই নায়িকা।
আর প্রথম ছবি মুক্তির পরই দর্শকদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হোন এ অভিনেত্রী।সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমন তথ্য জানান তিনি ।
সোনাক্ষী বলেন, প্রথম ছবি করার আগে ৩০ কেজি ওজন কমিয়েছি। ছবি মুক্তির পর দর্শক বাহবা দিয়েছে। কিন্তু তারপরও ইন্ডাস্ট্রির লোকজন ও মিডিয়া আমায় অনবরত ফ্যাটশেমিং করেছিল। যেটা সত্যিই খুব খারাপ লেগেছিল।
তবে শুধু বড় পর্দায় নয়। কলেজে পড়াকালীন সহপাঠীদের কাছে কটু কথাও হজম করতে হয়েছে মোটা হওয়ার জন্য।
সোনাক্ষীর কথায়, আমার ওজন ছিল ৯৫ কেজি। ছোটবেলা থেকেই খুব মোটা ছিলাম। কিন্তু স্কুলে পড়ার সময় বিভিন্ন খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। মোটা হওয়ার কারণে ছেলেরা আমায় নানা নামে ডাকত। এ কারণে খেলায় কখনও প্রধান ভূমিকায় আমি স্থান পেতাম না।
একবার কলেজের ফ্যাশন শোয়ে অংশ নিতে গিয়েও বডিশেমিংয়ের শিকার হয়েছিলেন তিনি। সোনাক্ষী আরও বলেন, একবার আমরা কলেজে বার্ষিক ফ্যাশন শো করেছিলাম। আমার মডেল হওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু আমারই এক সহপাঠি আমায় বলে, তুমি স্টেজে আলোর দিকটা দেখ। আমি তখন বলেছিলাম, কেন! আমি তো র্যাম্পে হাঁটতে চাই। তখন সে বলেছিল, র্যাম্পে হাঁটার জন্য তোমার চেহারা উপযুক্ত নয়। আমার তখন খুব খারাপ লেগেছিল। তবে এখন সেই সোনাক্ষীর সৌন্দর্যেই কুপোকাত তার ভক্তরা তা বলাই বাহুল্য।
প্রসঙ্গত, সোনাক্ষী ছাড়াও বলিউড থেকেবিদ্যা বালন, হুমা কুরেশি, নেহা ধুপিয়া, প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও বডিশেমিংয়ের শিকার হন। সূত্র: কলকাতা২৪