সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের সহযোগিতায় বাংলাদেশে উদযাপিত হলো ৮৯তম সৌদি জাতীয় দিবস।
সৌদি আরবের জাতীয় পতাকাবাহী বিমান সংস্থা সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স (সাউদিয়া)-এর সহযোগিতায় বাংলাদেশে উদযাপিত হয়েছে ৮৯তম সৌদি জাতীয় দিবস। সম্প্রতি ঢাকায় রয়্যাল সৌদি দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দিবসটি পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশে সৌদি আরব দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হারকান হুয়েদি এইচ বিন সাউইয়া এবং দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমন্ত্রিত অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ, এমপি। এছাড়া সাউদিয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার তারিক এ আলাওয়েদী অনুষ্ঠানে অতিথিদের স্বাগত জানান।
তারিক এ আলাওয়েদী বলেন, ‘এই দিনটি আমাদের কাছে একটি বিশেষ দিন। বাংলাদেশে ৮৯তম সৌদি জাতীয় দিবস উদযাপন করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। সৌদি আরব এবং বাংলাদেশ দীর্ঘ ও ঐতিহাসিক সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ। সাউদিয়া ১৯৮০ সালে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করে। দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগব্যবস্থায় অবদান রাখতে পেরে আমরা গর্বিত।’
অনুষ্ঠান উপলক্ষে দূতাবাসের অভ্যর্থনা জানানোর স্থানটি সুসজ্জিত করা হয়। কেক কাটার মাধ্যমে প্রধান অতিথি এবং সৌদি দূতাবাসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তরা অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন। সবশেষে র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয় এবং বিজয়ীদের পুরস্কার হিসেবে ৪টি ইকোনমি ক্লাস এবং ১টি বিজনেস ক্লাস টিকিট দেওয়া হয়। বিশ্বের ৯৫টি শহরে সাউদিয়ার ফ্লাইট আছে। র্যাফেল ড্রর বিজয়ীরা ওই সব শহর ভ্রমণে টিকিটগুলো ব্যবহার করতে পারবেন।
সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স সম্পর্কে:
সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স (সাউদিয়া) সৌদি আরবের জাতীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স। ১৫০টির বেশি ন্যারো এবং ওয়াইডবডি এয়ারবাস এবং বোয়িং বিমানের বহরসমৃদ্ধ সাউদিয়ার ফ্লাইট বিশ্বব্যাপী ৯৫টির বেশি শহরে যাতায়াত করে। সাউদিয়ার বহরের ফ্লাইটের মধ্যে অত্যাধুনিক স্টেট অব দ্যা আর্টের বিনোদন ব্যবস্থা আছে। এই বিনোদনের বিভিন্ন ফিচারের মধ্যে ওয়াইফাই সংযোগ এবং চারশ ঘণ্টার বেশি বহুভাষায় হলিউড প্রিমিয়ার এবং সর্বশেষ টেলিভিশন শো, বক্স সেট, মিউজিকও অন্তর্ভূক্ত। আছে শিশুদের জন্যও অনুষ্ঠান। ডিজিটাল এবং অডিও বুকের সাথে সাথে আরো অনেক ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থা আছে সৌদিয়ার ফ্লাইটে। সাউদিয়া বহরের গড় বয়স পাঁচ বছরেরও কম।
এই বছরের শুরু থেকে, সাতটি বিমানের সিটের পিছনে টেলিভিশন স্ক্রিন এবং ওয়াইফাই সংযোগ নতুনভাবে দেয়া হয়েছে। নতুন বিমানটি ইউরোপের শহর রোম, মিলান, মিউনিখ, ফ্রাঙ্কফুট, জেনেভা এবং ভিয়েনায় যাতায়াত করে।
সৌদিয়া পৃথিবীর প্রথম এবং একমাত্র অ্যায়ারলাইন্স যারা বিনামূল্যে স্যোসাল মেসেজিং প্ল্যানের সুবিধা প্রদান করে। এই প্ল্যানের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত পাঁচটি অ্যাপ্লিকেশন অন্তর্ভুক্ত।