ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদার বিষয়ে যুক্তরাজ্যের দেওয়া সব শর্ত পূরণ করা হলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
একই সঙ্গে আজ রোববার ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক হবে বলেও জানান তিনি।
শনিবার দুপুরে তিনি এসব কথা বলেন। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে ঢাকা থেকে বিমানের সরাসরি লন্ডনের কার্গো ফ্লাইটের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশটি। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকার কথা রয়েছে। এর আগে অস্ট্রেলিয়াও একই কায়দায় ঢাকা থেকে সরাসরি কার্গো ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়। অস্ট্রেলিয়ার মতো যুক্তরাজ্যও একই সুরেই অপর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও জনবলের অভাবের জন্য দায়ী করেছে সিভিল এ্যাভিয়েশনের গাফিলতি ও অবহেলাকে। লন্ডনের কার্গো ফ্লাইট বন্ধ করায় বিমানকে বড় ধরনের মাসুল গুনতে হচ্ছে। সপ্তাহে ঢাকা থেকে চারটি ফ্লাইটে যে পরিমাণ কার্গো বহন করা হতো- তাতে মাসিক কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হতো। এখন এ আয় থেকে বঞ্চিত হবে বিমান।
এছাড়া,যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞার পর ইউরোপের সবজি বাজার হারানোর আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।বর্তমানে যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের ৩০টি দেশের সুপার মার্কেটে বাংলাদেশি শাকসবজি ও ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, যার পুরোটাই পাঠানো হয় কার্গো বিমানে। এ অবস্থায় ৪০ শতাংশ সবজির ক্রেতা যুক্তরাজ্য হঠাৎ করে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কার্গো পরিবহন স্থগিত করায় বিপাকে রপ্তানিকারকরা। তাদের আশঙ্কা, অনির্দিষ্টকালের জন্য যুক্তরাজ্যে রপ্তানি বন্ধ থাকলে সেদেশে বিনিয়োগ আটকে যাওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষক।
একই সঙ্গে নতুন শঙ্কা দিয়েছে বিমানের যাত্রীবাহী লন্ডন ফ্লাইট নিয়েও। যে কারণে কার্গো বন্ধ করা হয়েছে, সেই একই কারণে বিমানের লন্ডন ফ্লাইটও বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।