ভারত থেকে তুলা আমদানিতে বিড়ম্বনা

1457786127-207x191ভারত থেকে তুলা আমদানির ক্ষেত্রে প্রায়ই ব্যবসায়ীদের বিড়ম্বনার শিকার হন বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি তপন চৌধুরী।

শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ-ভারত কটন ফেস্ট ২০১৬ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ দাবি করেন।

তপন চৌধুরী বলেন, ভারত বিশ্বের বড় তুলা উপাদনকারী দেশ। এ ছাড়া প্রতিবেশী দেশ এবং বন্ধত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে প্রায় ৫০ শতাংশ তুলা ভারত থেকে আমদানি করা হয়।

ভারত থেকে তুলা আমদানিতে সমস্যাগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, ভারত থেকে তুলা আমদানির ক্ষেত্রে প্রায়ই ব্যবসায়ীদের বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। এর মধ্যে হঠাৎ করে তুলা রপ্তানি বন্ধ, ক্ষতিপূরণ পেতে বিড়ম্বনা বা ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকারসহ নানা সমস্যা দেখা যায়।

তিনি বলেন, ভারতের তুলা রপ্তানীকারকদের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে এসব সমস্যা দূর করা প্রয়োজন।

সময়মতো তুলা সরবরাহের ক্ষেত্রে একটি চুক্তি প্রয়োজন উল্লেখ করে তপন চৌধুরী বলেন, আমরা যাতে সময়মতো তুলা পেতে পারি তার জন্য একটি চুক্তি করা প্রয়োজন। ফলে আমাদের স্পিনার্সরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। ২০২১ সালে ৫০ বিলিয়ন (৫০০ কোটি ডলার) ডলার পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে আমাদের প্রচুর পরিমাণে তুলা আমদানি করতে হবে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মোট আমদানির ৪৯ শতাংশ ভারত থেকে এসেছে। চলতি অর্থবছরে (২০১৫-১৬) এর পরিমাণ দাঁড়াবে ৬০ শতাংশের বেশি। শুধু তুলাই নয়, অন্যান্য পণ্যের কাঁচামাল ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিটিএমএ ভাইস প্রেসিডেন্ট ফজলুল হক, বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএ) প্রেসিডেন্ট বাদশা মিয়া, ইন্ডিয়ান কটন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শ্রী মাহিশ হালদার, ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা প্রমুখ।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.