রিজার্ভ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে জেনেও তা গোপন রাখায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড.আতিউর রহমানের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গভর্নর এই ঘটনাকে কেন ধামা-চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে? আমি কেন পরে বিষয়টি জানতে পারলাম? তদন্ত চলছে, দোষী যেই সাব্যস্ত হোক তাকে আইনের আওতায় আসতেই হবে।
রবিবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) মনোনয়ন বোর্ডের সভায় তিনি এমন মনোভাব প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এর কার্যক্রম নিয়ে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। সবাই আমাদের প্রশংসা করতে শুরু করেছে। যুক্তরাজ্যের কার্গো বিমান বন্ধের ঘটনা, বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ লোপাট-এ দুটি ঘটনা আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।
হ্যাকিংয়ের এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এতগুলো টাকা সরিয়ে ফেলা হলো বাংলাদেশ ব্যাংক জেনেও গোপনীয়তা রক্ষা করার চেষ্টা করল কী করে?
এর আগে দুপুরে সচিবালয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকায় বিরক্তি প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, দেড় মাস আগে রিজার্ভ হ্যাকডের ঘটনা ঘটলেও আমাকে তা জানানো হয়নি। এ জন্য আমি আনহ্যাপি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এ ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে তারা যেভাবে ব্যবস্থা নিয়েছে সেটা অদক্ষতার পরিচয় বহন করে। দুপুরের পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে বিষয়ে জানানো হবে। মুহিত বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি বিকেলে অথবা কালকে সোমবার গণমাধ্যমে বিবৃতি দেব। তবে এর আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করব। এর আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আরও বলেছেন, “গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ঘটনা ঘটেছে। অথচ ঘটনার অনেক পরে আমরা এ বিষয়ে জানতে পারি”। “বাংলাদেশ ব্যাংক এ ঘটনা আমাদের না জানানোর মতো ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। আমি এই ধৃষ্টতার বিরুদ্ধে অ্যাকশান নেব”-বলেন অর্থমন্ত্রী।