‘চলতি মাসের মধ্যেই হযরত শাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সন্তোষজনক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিরাপত্তার জন্য যা যা প্রয়োজন সবধরনের পদক্ষেপই নেওয়া হচ্ছে।’
সচিবালয়ে সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
নিরাপত্তা জনিত পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘নিরাপত্তার জন্য নতুন জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে তাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। নিয়োগকৃত ২৫০ জনের এই জনবলে পুলিশ, আনসার, এয়ারফোর্সের লোক আছে। নতুন স্ক্যানার মেশিন আনা হয়েছে। এছাড়া বিমানবন্দরের জন্য ৯০ কোটি টাকার ইক্যুইপমেন্ট আনা হচ্ছে।
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং বিমানবন্দরের উন্নয়নে ছয় মাসের জন্য বিদেশি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বিমানমন্ত্রী বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং এর উন্নয়ন কাজে ছয় মাসের জন্য বিদেশি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হবে। আলোচনার ভিত্তিতে আপাতত ৬ মাসের জন্যই তাদের নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। প্রয়োজনে তা বাড়তে পারে। মূলত তারা প্রশিক্ষণ, পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে আমাদের সহায়তা করবে।
রাশেদ খান মেনন বলেন, বিমানবন্দরের নিরাপত্তার জন্য সরকার নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। ইতিমধ্যে আমরা অনেকদূর এগিয়েছি। বিদেশিরাও এতে সন্তষ্ট ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ঢাকা থেকে কার্গো বিমানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ঘটনায় আমরা অবাক হয়েছি।
মন্ত্রী জানান, যাত্রীদের নিরাপত্তা দেখতে গিয়ে কার্গো বিমানে মনোযোগ কম হবে সেজন্য আমরা কার্গো বন্ধ রেখেছি।’
বিদেশি পরামর্শকের কাজের বিবরণ দিয়ে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘বিদেশি কোম্পানি প্রথম দিন থেকে ট্রেনিং শুরু করবে এবং কাজের তদারকি করবে। ওয়ার্কারদের ক্যাপাসিটি বিল্ডিং করবে। বিদেশি পরামর্শকের হাতে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলে দিচ্ছি না। আমরা আপাতত তাদের সার্ভিস নেব।
প্রসঙ্গত, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন ও তদারকির জন্য বিমানমন্ত্রীকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সভা শেষে এই কমিটি গঠন করা হয়।
বিমানমন্ত্রী ছাড়াও কমিটিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, বিমান সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ সাত সদস্য রয়েছেন।
বিমানমন্ত্রী বলেন, এই কমিটি প্রতিদিন বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নজর রাখছে। আমি নিজেও সেখানে অফিস করছি।