শাহজালালে নিরাপত্তা ঢেলে সাজানো হচ্ছে

airportশাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। তবে যাত্রীদের লাগেজ ভোগান্তি কমেনি। যাত্রীরা লাগেজ হাতে পেতে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা সময় লাগে। লাগেজ হাতে পাওয়ার নিয়ম আরও সহজ করলে যাত্রীরা উপকৃত হবে। অভিযোগ রয়েছে, বিমানবন্দরে সংঘবদ্ধ চক্র এখনও সক্রিয় রয়েছে। তারা নানা কৌশলে বিভিন্ন অপকর্ম করছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগের চেয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হচ্ছে। পুলিশ ছাড়াও অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। পুলিশ ছাড়াও বিমানবাহিনী ও আনসার সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। বিমানবন্দরের ভেতরে প্রায় ১শ’ নিরাপত্তা ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। আর বিমানবন্দরের বাইরে এখনও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। ইমিগ্রেশন পুলিশ সেখানে চেকিংয়ের কাজ করছে। তাদের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।

অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে যে সমস্ত লোক কাজ করে এবং নিরাপত্তার জন্য তাদের যে ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার তা নেই। সেখানে একটি চক্র সিন্ডিকেট করে সব নিয়ন্ত্রণ করছে। এর জন্য যারা কঠোর পদক্ষেপ নিতে চায়। তাদের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালিয়ে তাদের বদলি করে বা সরিয়ে দেয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক সূত্র জানায়, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর দিয়ে দিনে প্রায় ২৫ হাজার যাত্রী আসা যাওয়া করে। তাদের অধিকাংশ যাত্রীর বিভিন্ন মালামাল থাকে। বিমান থেকে যাত্রী নামার পর প্রায় দেড় থেকে ২ ঘণ্টা এখন লাগেজের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। অনেক সময় লাগেজসহ মালামাল পাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। বর্তমানে যে পদ্ধতিতে লাগেজ পরীক্ষা ও যাত্রীর হাতে পৌছে তা দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশে আধুনিক সিস্টেম চালু থাকলেও শাহজালাল বিমানবন্দরে ভোগান্তি এখনো কমেনি। প্রতিনিয়ত যাত্রীরা ঘাটে ঘাটে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর পাশপাশি দেশি বিদেশি যাত্রীদের সহজেই লাগেজ পেতে পারে তার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হলে হাজার হাজার যাত্রীর ভোগান্তি কমবে।

এদিকে বিমানবন্দরকেন্দ্রিক এখনও সোনা চোরাচালানি সিন্ডিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধীরা তৎপর রয়েছে। এই সব চক্র চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিলে বিমান বন্দরের অনিয়ম বন্ধ হবে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.