প্রতিমাসে ফেসবুকে ৫ লাখ রিভেঞ্জ পর্নোর অভিযোগ

প্রতিমাসে ফেসবুকে ৫ লাখ রিভেঞ্জ পর্নোর অভিযোগ।

রিভেঞ্জ পর্নো প্রতিরোধ এবং তা মুছে ফেলতে কয়েক বছর ধরেই কাজ করে যাচ্ছে ফেসবুক। কিন্তু এই অপচর্চার লাগাম টেনে ধরা যায়নি। কোনো ব্যক্তির অনুমতি ছাড়াই তাকে অপমানের উদ্দেশ্যে তার যৌনতাপূর্ণ ছবি বা ভিডিও শেয়ার করে দেয়া হলে ওইসব কনটেন্টকে ‘রিভেঞ্জ পর্নো’ বলা হয়।

এনবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি মাসে ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে প্রায় ৫ লাখ রিভেঞ্জ পর্নো পোস্টের বিরুদ্ধে রিপোর্ট পায় ফেসবুক। রিভেঞ্জ পর্নো দ্রুত শনাক্ত এবং মুছে ফেলতে ফেসবুকের পক্ষ থেকে প্রচেষ্টা বাড়ানো হলেও, প্রতিশোধ পরায়ণ নগ্ন ছবি আপলোডের ধারা বজায় রয়েছে।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটটি এ বছরের শুরুর দিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নতুন একটি টুল যুক্ত করেছে যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিভেঞ্জ পর্নো শনাক্ত করতে পারে, ব্যবহারকারীরা রিপোর্ট করার আগেই। এছাড়া ফেসবুকের মডারেটররা ছাড়াও রিভেঞ্জ পর্নো রোধে ২৫ জনের বিশেষ একটি দল কাজ করছে।

রিভেঞ্জ পর্নো ঠেকাতে ২০১৭ সালে একটি পাইটল প্রকল্প চালু করেছিল ফেসবুক। যেখানে ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে তাদের নগ্ন ছবি চাওয়া হয়। ব্যবহারকারীদের নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে এ ধরনের ছবি পাঠাতে বলা হয়। এই প্রকল্পে ফেসবুকের উদ্দেশ্য ছিল, কোনো ব্যবহারকারী যদি আগেই তাদের কাছে নগ্ন ছবি পাঠিয়ে দেয়, তাহলে তারা নিশ্চিত করবে ওই ছবিটি আর কেউ কখনোই ফেসবুকে পোস্ট করতে পারবে না। ওই ছবিটি তারা ব্লক করে দেবে। কিন্তু ব্যাপক সমালোচনার মুখে প্রকল্পটি নিয়ে আর এগোয়নি।

আরো উন্নত প্রযুক্তি এবং মডারেটর উভয় মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি এবং ভিডিও পোস্ট বা শেয়ার বা রি-পোস্ট প্রতিরোধ ও দ্রুত মুছে ফেলবে বলে নিশ্চিত করেছে, যদি তাদের কাছে প্রতীয়মান হয় যে সেগুলো কারো অনুমতি ছাড়া কেবলমাত্র প্রতিহিংসার কারণে ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.