নেত্রকোনার দুর্গাপুরে নবজাতককে হত্যা করলেন নানা!
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার পল্লীতে নবজাতক ছেলে শিশুকে হত্যা করে শিশুর লাশ গুম করার অভিযোগ উঠেছে ওই শিশুরই নানা ফৌজদার মিয়ার বিরুদ্ধে।
রোববার সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলার চণ্ডীগড় ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের মো. ফৌজদার মিয়ার কন্যা মোছা. জেসমিন আক্তারকে (১৫) বাকলজোড়া ইউনিয়নের জানিরগাঁও গ্রামের মৃত ইন্নছ আলীর পুত্র মো. কাজল মিয়ার (১৯) সঙ্গে কৌশলে বিরিশিরি ইউনিয়ন এর কাজীর সহকারী আ. কাদির এর মাধ্যমে গত ৪ আগস্ট বিয়ে দেন ফৌজদার মিয়া।
জেসমিনের স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা কেউ অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জানতো না। বিয়ের পর ঘর-সংসার চলতে থাকার ৩ মাস ১৩ দিনের মাথায় গত ১৭ নভেম্বর ভোররাতে জেসমিন আক্তার এক ছেলে সন্তান প্রসব করে।
এ ঘটনার পর কাজলের মা কোনো উপায় না দেখে জেসমিনের বাবা ফৌজদার মিয়াকে মোবাইল ফোনের বিষয়টি জানিয়ে মেয়ে ও নাতিকে দ্রুত বাড়িতে নিয়ে যেতে বলেন। মেয়ে আর নাতিকে বাড়িতে আনার পর থেকেই নবজাতক শিশুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
কাজল মিয়ার পরিবারসহ স্থানীয় গ্রামবাসীরা ফৌজদার মিয়া তার নবজাতক নাতিকে হত্যা করে গুম করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার দুই একদিন ফৌজদার মিয়ার মোবাইল ফোন খোলা থাকলেও বর্তমানে তা বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ওসি দুর্গাপুর থানা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার কথা আমি শুনেছি। জেসমিনের স্বামী কাজল মিয়া একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। এরই প্রেক্ষিতে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।