অল্প বয়সেই পাকা চুল?

অল্প বয়সেই পাকা চুল?

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চুল পাকা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু অল্প বয়সেই চুলে পাক ধরলে তা সমস্যারই কথা। পাকা চুল কালো করতে চুলে রঙ করাটাকেই সহজ সমাধান ধরে নেন সবাই। কিন্তু দিনের পর দিন চুলে হেয়ার ডাই ব্যবহার করলে চুল রুক্ষ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এক্ষেত্রে বেছে নিন ঘরোয়া এই সমাধানগুলো-

চা: দুই চা চামচ চা পাতা এক কাপ পানিতে মিনিট দুয়েক ফুটতে দিন। ফুটে উঠলে আঁচ থেকে নামিয়ে সম্পূর্ণ ঠান্ডা করে ফেলুন। চা ঠান্ডা হলে পানি ছেঁকে নিয়ে তা দিয়ে চুল পুরো ভিজিয়ে শাওয়ার ক্যাপ পরে এক ঘণ্টা রাখুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর শ্যাম্পু করবেন না। দুই সপ্তাহ অন্তর একদিন করতে হবে।

নারিকেল তেল ও লেবু: দুই টেবিল চামচ নারিকেল তেলের সঙ্গে এক টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে চুলে মেখে নিন। সব চুলে আর স্ক্যাল্পে ঘষে ঘষে মাখতে হবে। মাখা হলে আধঘণ্টা রাখুন। তারপর সালফেটবিহীন শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দু’বার করলে পাকা চুলের পরিমাণ আর বাড়বে না।

আমলা ও হেনার প্যাক: একটি বাটিতে এক কাপ টাটকা হেনা বাটা নিন। তাতে তিন চা চামচ আমলা পাউডার আর এক চা চামচ কফি পাউডার মেশান। মিশ্রণটি খুব ঘন মনে হলে অল্প পানি মেশাতে পারেন। এবার হাতে গ্লাভস পরে এ মিশ্রণটি অ্যাপ্লিকেটর ব্রাশ দিয়ে চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত লাগিয়ে নিন। পেস্টটি পুরো না শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর সালফেটবিহীন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। মাসে একবার করলেই পাকা চুলের সমস্যা দূর হবে।

আলুর খোসা: ছয়টি মাঝারি মাপের আলুর খোসা ছাড়িয়ে নিন। এবার দুই কাপ পানিতে আলুর খোসাগুলো দিয়ে আঁচে বসান। পানি ফুটতে শুরু করলে একটু পরই একটা ঘন স্টার্চের মতো মিশ্রণ তৈরি হবে। মিশ্রণটা আঁচ থেকে নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন, তারপর ছেঁকে খোসা থেকে তরলটা আলাদা করুন। এবার আগে চুলে শ্যাম্পু আর কন্ডিশনিং করুন। চুল ধুয়ে নিয়ে আলুর খোসা সিদ্ধ করা পানিটুকু চুলে ধীরে ধীরে ঢেলে নিন। এরপর আর চুল ধোয়ার দরকার নেই। স্টার্চের মতো দেখতে মিশ্রণটা চুলে পিগমেন্টের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে, ফলে চুল সাদা কম হয়।

কালো কফি: কড়া করে এক পট কালো কফি তৈপি করুন। ঠান্ডা হয়ে গেলে কফিটা চুলে ঢেলে মাসাজ করুন। মাসাজ হলে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ঠান্ডা পানিতে চুল ধুয়ে নিন। শ্যাম্পু করবেন না।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.