এভিয়েশন নিউজ: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ব্যাগেজে মালপত্রের ভেতর থেকে কোটি টাকার স্বর্ণবার আটকের ঘটনায় সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় দুটি পৃথক মামলা করা হয়েছে। গত শনিবার গণমাধ্যমে ‘শাহজালালে স্বর্ণ পাচারে সক্রিয় ব্যাগেজ সিন্ডিকেট’ খবর প্রকাশ হয়। এরপর এ উদ্যোগ নেয়া হয়।
এতে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্মার্ট কার্গো লিমিটেড, মীর লজিস্টিক লিমিটেড, কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মচারীসহ অন্তত ১০ জনকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া স্মার্ট কার্গো লিমিটেড ও মীর লজিস্টিক লিমিটেডের লাইসেন্সও সাময়িকভাবে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয়।
গতকাল সোমবার ঢাকা কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার মো. জিয়াউদ্দিন বলেন, ব্যাগেজ পণ্যের নামে স্বর্ণ পাচার ঘটনায় চক্রটির বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান গত রোববার থানায় বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
তবে গতকাল পর্যন্ত পুলিশ জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। সূত্র জানায়, শাহজালাল বিমানবন্দরে ব্যাগেজ পণ্যের নামে স্বর্ণ পাচারে সক্রিয় ৬০ সদস্যের একটি সিন্ডিকেট। প্রতিনিয়ত চক্রটির মাধ্যমে বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো (এয়ারফ্রেইট) ও কুরিয়ার শাখার গেট দিয়ে কোটি টাকার স্বর্ণবারসহ বিভিন্ন আমদানি নিষিদ্ধপণ্য পাচার হচ্ছে।
চক্রটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক শ্রেণীর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট (কাস্টমস সরকার) ও কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মীর লজিস্টিক লিমিটেডের মালিক মীর আমিরুজ্জামান সমকালকে বলেন, স্বর্ণ পাচারের সঙ্গে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট জড়িত নয়।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বিদেশ থেকে কোনো পণ্য আমদানি করে না। বিমানবন্দরের কার্গো শাখা থেকে পণ্য খালাসে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মীরা কাগজপত্র দাখিলের মাধ্যমে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করে থাকেন।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। ইতিমধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে।