এভিয়েশন নিউজ: বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের নবম এয়ারলাইনস হিসেবে যাত্রা শুরু করল ইউএস-বাংলা গ্রুপের মালিকানাধীন ইউএস-বাংলা। গতকাল বুধবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে আনুষ্ঠানিকভাবে এয়ারলাইনসটির কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
ইউএস-বাংলার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ইউএস-বাংলাই প্রথম দেশে ৭৬ আসনের ড্যাশ উড়োজাহাজ এনেছে। এর মধ্যে ছয়টি বিজনেস ক্লাসের আসনও থাকবে। এর আগে অন্য অপারেটররা ড্যাশ ৮ কিউ-৩০০-এর পুরনো মডেল ব্যবহার করেছে।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানান, যশোর থেকে খুলনার যাত্রীদের জন্য আধুনিক ৪২টি আসনের বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এতে ওয়াইফাই সুবিধা রয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড় এবং আগ্রাবাদ থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দরেও যাত্রীদের পরিবহনের জন্য বাস সার্ভিস থাকবে।
গতকাল বুধবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট শুরু করে ইউএস-বাংলা। প্রাথমিকভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে প্রতিদিন দুটি ও ঢাকা-যশোর রুটে প্রতিদিন একটি ফ্লাইট দিয়ে যাত্রা করেছে এয়ারলাইনসটি।
এছাড়া আগামী আগস্ট থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে দৈনিক চারটি এবং ঢাকা-যশোর রুটে দুটি করে ফ্লাইট চলাচল করবে। পাশাপাশি ঢাকা-সিলেট এবং ঢাকা-কক্সবাজার রুটে একটি করে ফ্লাইট চালু করবে তারা। পরে একে একে দেশের অন্যান্য অভ্যন্তরীণ রুটগুলোয়ও ফ্লাইট চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে এয়ারলাইনসটির।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বহরে বর্তমানে দুটি ড্যাশ ৮ কিউ-৪০০ উড়োজাহাজ রয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে একই মডেলের তৃতীয় উড়োজাহাজ ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। উদ্বোধন উপলক্ষে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার এবং ঢাকা-যশোর রুটে ৩ হাজার টাকা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাশেদ খান মেনন বলেন, ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসকে সময়ানুবর্তিতা অনুসরণ করতে হবে। তিনি বলেন, অনেক আশা নিয়ে তরুণ-তরুণীরা এ পেশায় আসছে। দুই বছর পর এয়ারলাইনসের এমন কিছু হবে না যাতে তাদের স্বপ্ন ভেঙে যায়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন সচিব খুরশিদ আলম চৌধুরী ও বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মাহমুদ হোসেন।