‘টোকাই-হকারমুক্ত’ শাহজালাল বিমানবন্দর

DSC_0280ঢাকার হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এখন টোকাই ও হকারমুক্ত। তাই এখানে যাত্রী কিংবা তাদের স্বজনদের কোনো বিরক্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে না।

শনিবার বিমানবন্দর আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও ঢাকা মহানগর পুলিশের বিমানবন্দর থানা সূত্র এমনটাই জানিয়েছে।

বিমানবন্দরে পরিচালিত অভিযানের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইউসুফ বলেন, বিমানবন্দর এলাকায় অনধিকার প্রবেশের দায়ে শনিবার ১৪ টোকাইকে আটক করা হয়। বেশ কিছুদিন ধরে এ অভিযান চলছে। বিভিন্ন সময় এ ধরনের ?অভিযান চালিয়ে গত এক বছরে ৪১৩ টোকাইকে আটক করা হয়েছে। বিমানবন্দর এখন থেকে হকার ও টোকাইমুক্ত।

এপিবিএন ও বিমানবন্দর থানা সূত্র জানায়, হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকায় একসময় গাবতলী-সদরঘাটের মতো হকার ও টোকাইয়ের উৎপাত ছিল।

ছিনতাই, নেশাজাতীয় দ্রব্য বিক্রি, অবৈধ ডলার ব্যবসায়ীদের সহযোগী, এমনকি বড় বড় চোরাকারবারি হিসেবেও তারা যুক্ত ছিল। সম্প্রতি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় বিমানবন্দর এখন প্রায় টোকাই-হকারমুক্ত। এপিবিএন ও বিমানবন্দর থানার যৌথ উদ্যোগে চালানো অভিযানে বিমানবন্দর থেকে ১৪ টোকাইকে আটক করা হয়। পরে তাদের তিন মাসের জন্য মিরপুর ভবঘুরে আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইউসুফ।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি বিমানবন্দরে বড় বড় অপরাধে এই ছোট ছোট বাচ্চাদের ব্যবহার করা হচ্ছে_ কখনো ক্যারিয়ার কখনো বার্তাবাহক হিসেবে।

‘তাছাড়া ছিনতাই, যাত্রী হয়রানি, মাদক বিক্রি ও ডলার হকারিতেও এই শিশুরা ব্যবহৃত হয়। গত ১২ মাসে আমরা প্রায় ৪১৩ জন টোকাইকে মিরপুর ভবঘুরে আশ্রয় কেন্দ্রে পুনর্বাসনের জন্য পাঠিয়েছি।’

মুহাম্মদ ইউসুফ বলেন, একসময় বিমানবন্দরের পাশে সংরক্ষিত এলাকাগুলোতে নানা ধরনের অপরাধ ঘটত। বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে সেগুলো বন্ধ করা হয়েছে।
‘ভবিষ্যতে এ অবস্থা অব্যাহত রাখতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ’ বলেও জানান তিনি।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.