মোজাম্মেল হোসেন মোহন, এভিয়েশন নিউজ: বেশ কিছু দিন ধরে আমার এক বাংলাদেশ বিমানের কর্মকর্তা বন্ধু তাঁর অফিসে অথবা বাসায় একবার হলেও যাবার জন্য অনুরোধ করছিলেন।
তাঁর অফিসে অথবা বাসায় যাওয়ার আমার ইচ্ছা ছিল না। আমি আমার এই বন্ধুটাকে এখন আর তেমন পছন্দ করি না। আবার সে কথা তাকে সরাসরি বলতেও পারছিনা।
অবশেষে অনেকটা বাধ্য হয়েই বন্ধুর স্ত্রীর ফোনের জন্য আজ আমাকে তাঁর বাসায় যেতে হল। অবশ্য এই বন্ধু বিয়ে করার পর আমি তাঁর স্ত্রীকে একবারও দেখি নাই। এক সময় ওরা দুজনেই তুখড় বাম ছাত্র রাজনীতিতে জড়িত ছিল। দুজন খুবই নীতি বান ও দেশ প্রেমিক ছিল।
এজন্য ওরা আমার বন্ধু হলেও আমি এই আদর্শের জন্য ওদেরকে সব সময় শ্রদ্ধার চোখে দেখতাম। কিন্তু আমার বন্ধু বাংলাদেশ বিমানে চাকরী নেওয়ার পর থেকেই দেখে আসছিলাম ওর আঙ্গুল ফুলে কলা হচ্ছিল।
মাত্র ৪ বছরে এখন ওর ঢাকা শহরে ৩ টি ফ্লাট, বসুন্ধরা এর মত এলাকায় প্লট, গাজীপুরে এবং নারায়ণগঞ্জ এর মত স্থানে যায়গা আরও কত কি। আমাকে ওদের বাসায় নিয়ে আমার বন্ধুর স্ত্রীর বোনের জন্য যে প্রস্তাব দিল আমি তাঁতে নিজেকে কোন রকম সংযত করে, বাসা থেকে বের হতে হতে আমার মোবাইল থেকে ওদের নাম্বার গুলো মুছে দিলাম।
আর মনে মনে বললাম……… সার জীবন চিরকুমার থাকব। তারপরও এমন দুর্নীতি যাঁদের শরীরে জড়িত আমি জেনে শুনে তাঁদের কোন আত্মীয়-স্বজনকে বিয়ে করব না।
আমি তোদেরকে ঘৃণা করি, আমি আবার বলছি……… আমি তোদেরকে ঘৃণা করি। তোরা আমার দেশে শত্রু। মানুষের শত্রু। তোদের আজ কিংবা কাল এদেশের মাটিতে বিচার হবেই। তোঁরা ফিরিয়ে দে আমার দেশের ঐতিহ্য। আমার দেশের লাল সবুজের পতাকা বাহী বিমানকে।
বি: দ্র: মতামত বিভাগে প্রকাশিত লেখার জন্য সম্পাদক কোন প্রকার দায়ী থাকবে না।