আলোই সত্য, সত্যই আলো। আলোতেই অন্ধকার পরাভূত হয়। আলোতেই শুভ। আবার হিংসা-ঝরা ছড়াতে অন্ধকারই বেছে নেয় কাপুরুষেরা। সেই অন্ধাকার দূর করতেই আলোর খেলায় মেতে উঠেছিল মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ। শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টা পঞ্চাশ মিনিটে লাখো মানুষ মোমবাতি প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে আলোর যাত্রা শুরু হয়।
২৫ মার্চ। অন্ধকারেই রক্ত পিপাসায় মেতে উঠেছিল পাকিস্তানি হায়েনারা। ২৫ মার্চ রাতেই ঢাকায় রক্তগঙ্গা বয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানি নরপশুরা। আবার ২৬ মার্চ প্রতিরোধের তেজদীপ্ত শপথের আলোতেই দূর হয়ছিল ২৫ মার্চের অন্ধকারের হাহাকার। এমন তেজদীপ্ত শপথ নিয়েই রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে আলোর যাত্রায় মেতে উঠেছিল লাখো মানুষ। আলোতেই মুক্তির ডাকা।
ফার্মগেট থেকে আসাদ গেট পর্যন্ত যেন তিল ধরার ঠাঁই নেই। রাত ভারি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এসব এলাকার গাড়ির গতি পথ ঘুরিয়ে দেয়া হয়। স্বাধীনতার আলোয় অন্ধকার দূর করতে তরুণ-তরুণী, আবাল-বৃদ্ধা সবাই মিলে যায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে প্রশস্ত রাস্তায়। রাস্তার পশ্চিম লেনের মাঝেই বিশাল মঞ্চ। রাত সাড়ে দশটার পর থেকেই চলে দেশের গান। দেশের সুনামধন্য শিল্পীরা দর্শক মাতিয়ে গান পরিবেশন করতে থাকেন। বাজানো হয় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ। দেখানো হয় মুক্তিযুদ্ধের ওপর বেশ কয়েকটি ডুকুমেন্টরি।
২৫ মার্চের কালোরাত্রী উপলক্ষে গ্রামীণফোন-এর উদ্যোগ ‘আলোর যাত্রার’ আয়োজন করা হয়। বাঙালির স্বাধীনতা ইতিহাসে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ২৫শে মার্চের কালোরাতের শোককে সামনে এগিয়ে যাবার শক্তিতে পরিণত করার উদ্দেশ্যেই এই অভিনব উদ্যোগ।
এতে আলোর প্রদীপ হাতে অংশ নেন দেশের স্বনামধন্য ব্যক্তি, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ একাত্মতা প্রকাশকারী লক্ষাধিক মানুষ। বিশিষ্টজনের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক প্রমুখ।