এভিয়েশন নিউজ: দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) অবশেষে নথি সরবরাহ করল বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। গতকাল বেবিচক এসব নথি সরবরাহ করে। এগুলো পর্যালোচনা করে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হবে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।
বেবিচকের কাছে ক্রয় ও উন্নয়নসংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ বরাদ্দের নথি তলব করে দুদক। এজন্য একাধিকবার তাগিদপত্রও দেয়া হয়। তবে অভিযোগ উঠেছিল, সরবরাহকৃত তথ্যের মাধ্যমে বেবিচকের কর্মকর্তাদের দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ হয়ে যেতে পারে, এ ভয়ে প্রয়োজনীয় নথি দিতে কালক্ষেপণ করে সংস্থাটি।
নথি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন, বেবিচকের পাঠানো নথি পর্যালোচনা করা হবে। এর পর সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কমিশনে ডাকা হবে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, নথি সরবরাহে বেবিচক গড়িমসি করে এবং অনুসন্ধান না করতে দুদকে চিঠি পাঠায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা বিষয়টি দুদকের লিগ্যাল ও প্রসিকিউশন বিভাগকে জানান। আইন বিভাগ বিদ্যমান আইন ও সংবিধান অনুযায়ী চলমান কোনো অনুসন্ধান বা তদন্ত বন্ধের সুপারিশ কিংবা অনুরোধ করার সুযোগ নেই বলে মত দেয়। এর পর নথি চেয়ে আবার বেবিচকে চিঠি পাঠায় কমিশন।
দুদককে অনুসন্ধান না করার অনুরোধ জানিয়ে বেবিচকের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, দুদকের একেকটি অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে দুই থেকে ১০ বছর লেগে যায়। এ দীর্ঘ সময়ে দুদককে প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হয়। তাছাড়া বেবিচকের বিরুদ্ধে অধিকাংশ অভিযোগেরই প্রমাণ হয় না। দুদককে সহায়তার কারণে কর্তৃপক্ষের অযথা সময় ব্যয় হয়।