চলমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি একটি স্পর্শকাতর বিষয় হয়ে উঠেছে। এ বাস্তবতায় প্রতিটি দেশ নিজেদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাচ্ছে। ভৌগোলিক অবস্থান এবং সম্ভাবনার দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। তাই এখানকার অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি ব্যবস্থাকে এমনভাবে সাজাতে হবে যাতে আর কেউ নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনা দিতে না পারে। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য দেশের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি টাইম লাইন নির্ধারণ করে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যালান বারসিনের নেতৃত্বে সফররত মার্কিন প্রতিনিধিদলের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠকে জানানো হয়, সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাজ্যে সরাসরি কার্গো পণ্য পরিবহনে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক মানদ-ে উন্নীত করতে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের রেড লাইন অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটিজ কোম্পানি কাজ করছে, যার ফলাফল ইতিবাচক হবে বলে মন্ত্রণালয় আশাবাদী।
বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধিদলকে জানানো হয়, বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালুর জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে ক্যাটাগরি-১ উন্নীত করতে প্রয়োজনীয় আইন ও জনবল
নিয়োগের পদক্ষেপ হিসেবে সিভিল অ্যাভিয়েশন অ্যাক্ট-২০১৬ মন্ত্রিসভা চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে এবং সংসদের আগামী অধিবেশনে তা পাশ হবে। প্রতিনিধিদল এ ব্যাপারে অবগত বলে তারা জানান।
আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন_ ফেডারেশন অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সিজে কলিন্স, ডেপুটি চিফ মিশন ডেভিড মিয়েল, ট্রান্সপোর্ট সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের রিচেল ম্যাগগিলিন প্রমুখ।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন_ সচিব এসএম গোলাম ফারুক, সিভিল অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এহসানুল গনি চৌধুরী, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এমডি আসাদুজ্জামান, মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এএইচএম জিয়াউল হক, সিভিল অ্যাভিয়েশনের মেম্বার (অপারেশন) মুস্তাফিজুর রহমান ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিজি (আমেরিকা) আবিদা সুলতানা প্রমুখ।