বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এক অপারেটর থেকে অন্য অপারেটরে পাঠানো এসএমএস (সংক্ষিপ্ত বার্তা) এর ক্ষেত্রে দুই শতাংশ খরচ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিটিআরসির সর্বশেষ কমিশন বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিটিআরসি জানায়, মোবাইল অপারেটরদের নিজস্ব নেটওয়ার্ক বা অন্য অপারেটরের নেটওয়ার্কে মেসেজ পাঠাতে এত দিন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ছিল। এক অপারেটর থেকে আরেক অপারেটরের মেসেজ গ্রাহকের কাছে সরাসরি চলে যেত। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে অন্য অপারেটরে এসএমএস পাঠাতে হলে তা ইন্টার কানেকশন এক্সচেঞ্জ (আইসিএক্স) অপারেটরের কাছে যাবে। এরপর তা মোবাইল অপারেটরের কাছে যাবে।
বর্তমানে দেশের ভেতরে মোবাইল থেকে গ্রাহক পর্যায়ে একটি এসএমএস পাঠানোর খরচ ৫০ পয়সা। আন্তর্জাতিক এসএমএস পাঠানোর খরচ দুই টাকা। এসএমএস প্রাপ্ত এই অর্থ অপারেটররা নিজেদের মধ্যে আয় ভাগাভাগি করে নেয়। আইসিএক্স এ ব্যবস্থায় এলে তাদেরও এখান থেকেই আয়ের ভাগ দিতে হবে।
বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ২৩টি আইসিএক্স অপারেটর আছে। আর বছরে দেশের মধ্যে এসএমএস লেনদেনের সংখ্যা দেড় হাজার কোটি। যার বাজার মূল্য সাড়ে শতশ’ কোটি টাকা। মোবাইল ফোন অপারেটররা বিটিআরসি’র এই সিদ্ধান্তকে হঠকারি বলে মন্তব্য করেছেন। তারা বলছেন, এর মাধ্যমে তাদের খরচ বাড়বে। যা শেষ পর্যন্ত গ্রাহকের ওপর গিয়ে পড়বে। এতে আইসিএক্স অপারেটরদের আয় হলেও সরকারের কোন লাভ নেই। ক্ষতি হবে গ্রাহকের। এক অপারেটর থেকে অন্য অপারেটরে (অফ নেট) এখন প্রতিদিন গড়ে ২ কোটি মেসেজ আদান-প্রদান হয়ে থাকে। আর সব মিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৪ কোটি মেসেজ দেশের ভেতরে আদান-প্রদান হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিদিন ১০ লাখ মেসেজ পাঠানো হয়। আন্তর্জাতিক এসএমএসের জন্যও আইসিএক্স হয়ে মেসেজ পাঠানোর নিয়মটি প্রযোজ্য হবে।