আইসোলেশন আনার আড়াই ঘণ্টা পর সিলেটে কিশোরীর মৃত্যু

আইসোলেশন সেন্টারে আনার আড়াই ঘণ্টা পর সিলেটে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের এক কিশোরীর (১৬) মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে দুপুর দেড়টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় এ কিশোরী। গত দুই মাস ধরে লান্স ও হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন ওই কিশোরী।

এ ছাড়া ওই আইসোলেশনে থাকা ৫ জনের ৩ জনের করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। দু’জন চিকিৎসাধীন আছেন, তাদের অবস্থাও ভালো।

মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টায় সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানিয়েছেন শামসুদ্দিন হাসপাতালের অধীক্ষক ও ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ইউনুছুর রহমান।

তিনি বলেন, কিশোরী ভর্তি হওয়ার পরপরই আমাদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাকে দেখে অক্সিজেন ও অন্যান্য সাপোর্ট দেন। তার শরীরে করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গ নেই। দুই মাস আগে থেকেই লান্স ও হার্টের সমস্যায় তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট ছিল।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ইউনুছুর রহমান বলেন, আমরা তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, সে কোনো বিদেশির সংস্পর্শে যায়নি। সে জন্য তার করোনা পরীক্ষার দরকার নেই। কারণ আমাদের চিকিৎসকরা এটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে নিশ্চিত করেছেন। আমরা কিশোরীর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। পরিবার স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় লাশ দাফন করবেন।

নমুনা রাখার দরকার নেই জানিয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ইউনুছুর রহমান বলেন, আমরা তার নমুনা রাখব না। কারণ এটি স্বাভাবিক মৃত্যু।

এ দিকে সিলেটে শামসুদ্দিন হাসপাতালের করোনাভাইরাস সন্দেহভাজন ইউনিটে ৬ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। সোমবার পর্যন্ত হাসপাতালে ৫ জন রোগী ছিলেন।

তাদের মধ্যে ৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে রোববার ঢাকায় পাঠানো হয়। তাদের ৩ জনেরই করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। আর তারা এখন অনেকটা সুস্থ। তাই তাদের বাসায় পাঠানো হবে। বাকি দুইজনের শারীরিক অবস্থাও ভালো, তাদের নমুনা পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়েছেন শামসুদ্দিন হাসপাতালের আরএমও সুশান্ত কুমার মহাপাত্র।

এ ছাড়া সিলেট বিভাগে সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে আরও ৩০ জনকে। তবে সিলেট জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কাউকে কোয়ারেন্টিনে নেয়ার প্রয়োজন হয়নি।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেটের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. আনিসুর রহমান। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়ারেন্টিনে রাখাদের মধ্যে সুনামগঞ্জে ১৪ জন, হবিগঞ্জে ১০ জন এবং মৌলভীবাজারে ৪ জন রয়েছেন। সবমিলিয়ে সিলেট বিভাগে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয় ৩ হাজার ৬২ জনকে। এদের মধ্যে ১ হাজার ৮২৯ জনকে এখন পর্যন্ত ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.