নড়াইল সদর হাসপাতালে তীব্র শ্বাসকষ্টে রোগীর মৃত্যু, চিকিৎসক বলছেন হার্ট অ্যাটাক

নড়াইল সদর হাসপাতালে তীব্র জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ও গলা ব্যথায় মারা গেছেন এক বাক্তি। ১০-১২ দিন আগে তার জ্বর কাশি শ্বাস কষ্ট শুরু হয়েছিল। পরিবারের লোকেরা করোনার উপসর্গ মনে করে আইইডিসিআরের হটলাইনে যোগাযোগ করে কোনো ফল হয়নি।

মৃত বাক্তির নাম শওকত আলী (৩০)।তিনি নড়াইল পৌরসভাধীন দক্ষিণ নড়াইলের ওমর আলির ছেলে, রূপগঞ্জ বাজারে সুপারির ব্যবসায়ী। ৩১ মার্চ মঙ্গলবার রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাত পৌনে ৯টার দিকে শওকত নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং এর কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু ঘটে।

শওকত আলীর পরিবারের সদস্যরা জানান, শওকতের শরীরে এক সপ্তাহ ধরে জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথাসহ করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। এরপর ঢাকায় আইইডিসিআর এর করোনাসংক্রান্ত হটলাইনে ফোন দেওয়া হলেও কোনো কাজ হয়নি। একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে এক চিকিৎসকের নিকট চিকিৎসাসেবা নিচ্ছিলেন। ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ সেবন করানো হলেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় মঙ্গলবার রাতে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

নড়াইল সদর হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসার ডা. তহিদুল হাসান তুহিন বলেন, রোগী যখন জরুরি বিভাগে আসে তখন তার বমি ও শ্বাসকষ্ট ছিল। তবে পরীক্ষা ছাড়া বলা সম্ভব নয়; কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে।

সদর হাসপাতালের আরএমও মেডিক্যাল রেসপন্স টিমের ফোকাল পারসন ডা. মশিউর রহমান বাবু বলেছেন, কোনো করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তির ১৫ মিনিট পরে মারা যেতে পারে না। হার্ট-স্ট্রোকজনিত কারণে রোগীর মৃত্যু হয়।

সিভিল সার্জন ডাক্তার আব্দুল মোমেন জানান, রাতেই আইইডিসিআর এর সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে, যেহেতু রোগীর সাথে বিদেশফেরত কারো সংশ্লিষ্টতা নেই, তা ছাড়া উপসর্গগুলো করোনার নয়, তাই রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা হবে না।

জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা বলেন, দক্ষিণ নড়াইলে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় ওই এলাকায় বাড়তি সর্তকতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কেউ আতঙ্কিত না হয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.