বিশ্বজুড়ে মানুষের আতঙ্ক হয়ে ওঠা কভিড-১৯ চিকিৎসায় কার্যকর ওষুধ উদ্ভাবনের দাবি করেছে আমেরিকান একটি প্রতিষ্ঠান| সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ২০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়, যাদের উদ্ভাবিত কভিড-১৯ এর টিকা ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এতে ডিস্ট্রিবিউটেড বায়োর ওষুদ খুবই কার্যকর প্রমাণিত হয়।
ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকো ভিত্তিক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানটি আমেরিকানদের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়েছে নতুন এ উদ্ভাবন নিয়ে। ইতিপূর্বে প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট ও সিইও ড. জ্যাকব গ্ল্যানভিলে নেটফিক্স শোয়ে অংশ নিয়ে জানান, আমরা এমন একটি ভ্যাকসিন তৈরী করছি যা ভবিষ্যতে সবধরণের ফু রোগের চিকিৎসায় কাজে দেবে। তিনি জানান, ডিস্ট্রিবিউটেড বায়ো কভিড-১৯ এর ওষুধ তৈরীতে দিনরাত কাজ করে চলেছে। আর গত সোমবার গ্ল্যানভিলে নিশ্চিত করলেন, ‘কম্পানি কভিড-১৯ এর ওষুধ উদ্ভাবন করে ফেলেছে।
টিভি স্টেশন সিবিএস৮ কে তিনি বলেন, ‘আমরা আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, খুবই সম্ভাবনাময় ৫টি এন্টিবডির সমন্বয়ে একটি ওষুধ তৈরী করেছি এবং ল্যাব পরীক্ষায়ও তা সফল প্রমাণিত হয়েছে। এ ভাইরাসের চিকিৎসায় তা খুবই কার্যকর হবে।’
তিনি বলেন, ‘কম্পানির বিজ্ঞানীরা সার্স এর বিরুদ্ধে কার্যকর পাঁচটি এন্টিবডি নিয়েছিলো, যা ২০০২ সাল থেকে স্টোরেজে রাখা হয়। আমাদের ল্যাবটরিতে প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ ওষুধকে আমরা কভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে কার্যকর হিসেবে বিকশিত করতে সক্ষম হয়েছি। এ পাঁচটি এন্ডিবডি প্রত্যেকটিই আলাদাভাবে অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। এটি ইতিমধ্যে আমেরিকান সেনাবাহিনীর কাছে পাঠানো হয়েছে পুননিশ্চিত হওয়ার জন্য। একইসঙ্গে বেশকয়েকটি ল্যাবেও পাঠানো হয়েছে প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেটের জন্য। আশা করছি গৃষ্মের শেষে মানুষের ওপর পরীক্ষা চালানো সম্ভব হবে। যদি ওষুধটি মানুষের জন্য নিরাপদ প্রমাণিত হয় তবে সেপ্টেম্বরেই বাজারে ছাড়তে শুরু করব।’
সূত্র: ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস।