বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে জ্বর-সর্দি, কাশি নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন নৌসেনার মৃত্যু হয়েছে।
মৃত নৌসেনার নাম নাজমুল হক। সে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় নিজ গ্রামে দাফন করা হয়েছে। তবে তার মৃত্যুতে গ্রামে করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা যায়, সর্দি-জ্বর-গলাব্যথায় আক্রান্ত হয়ে নৌবাহিনীর এ সদস্য কুষ্টিয়ায় জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হলে বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে তিনি মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউপির কোলা গ্রামের বাবুপাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছিলেন। তার মৃত্যুর খবরে বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে শ্বশুরবাড়িটি লকডাউন ঘোষণা করে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেয় মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ। এরপর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অন্যদিকে, লাশ ফরিদপুর গ্রামের বাড়িতে পৌঁছলে সেখানেও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল। লাশ দাফনের সময় গ্রামের অনেকেই অংশ নেননি করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে।
আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হাদী জিয়াউদ্দীন আহম্মেদ সাঈদ জানান, অসুস্থতার পর তিনি মেহেরপুর শ্বশুরবাড়ি উঠেছিলেন। বেশি অসুস্থ হলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসক তাকে আলসারের চিকিৎসা দিয়েছিলেন। এই মৃত্যুর সাথে করোনা ভাইরাসের কোন সম্পর্ক নেই।