পাসপোর্ট অফিস হচ্ছে আরও ১৭ জেলায়

downloadদেশের বিভিন্ন জেলায় আরও ১৭টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ভবন নির্মাণ করছে সরকার। ৪ দশমিক ২৫ একর ভূমিতে প্রতিটি পাসপোর্ট অফিস হবে পাঁচতলা ভিত্তির ওপর তিনতলা। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এ সংক্রান্ত প্রকল্প প্রস্তাব ইতোমধ্যে পরিকল্পনা কমিশনে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।
বতর্মানে দেশের বিভিন্ন জেলায় ১৯টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ভবন নির্মাণে আরও একটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। চলমান এই প্রকল্পটির তুলনায় প্রস্তাবিত প্রকল্পের ভবন নির্মাণে ব্যাপক ব্যয় দেখানো হয়েছে। ১৭টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্মাণ প্রকল্পের প্রস্তাবনায় অবকাঠামো নির্মাণে একক মূল্য হিসাব করা হয়েছে ৬২ হাজার ২৪০ টাকা। অন্যদিকে ১৯টি পাসপোর্ট অফিস নির্মাণে অবকাঠামো নির্মাণে একক মূল্য ছিল মাত্র ১৪ হাজার। একই ধরনের নির্মাণ কাজ হলেও একক মূল্য বেড়েছে ৪৮ হাজার ২৪০ টাকা। আর এ বিষয়ে ইতোমধ্যে আপত্তিও জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বহিঃগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ১৯টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন পায় ২০১২ সালের জানুয়ারিতে। ফলে চার বছরের ব্যবধানে নির্মাণ সামগ্রীর ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় অবকাঠামো নির্মাণ কাজের একক মূল্যে দুটি প্রকল্পের মধ্যে পার্থক্য তৈরি হয়েছে।

তিনি আরও জানান, চার থেকে পাঁচ বছর আগে সারাদেশে ৬৭ পাসপোর্ট অফিস ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। উদ্যোগ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি একটি বড় প্রকল্পের আওতায় এসব পাসপোর্ট অফিস নির্মাণ করা সম্ভব হতো তবে অনেক কম খরচে নির্মাণ কাজ শেষ
করা যেত; কিন্তু সরকারের অর্থায়নের কারণে তা হয়নি।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক খানের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করেও তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় নতুন পাসপোর্ট অফিস হবে ভোলা, বরগুনা, লক্ষ্মীপুর, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, জামালপুর, নেত্রকোনা, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, রাজবাড়ী, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ এবং সুনামগঞ্জ জেলায়। প্রত্যেক জেলা শহরেই নির্মাণ করা হবে এসব পাসপোর্ট অফিস। এর মাধ্যমে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট পেতে আরও সহজ হবে বলে প্রকল্প প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বহিঃগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের এক কর্মকর্তা জানান, প্রতিবছর বহুসংখ্যক লোক শিক্ষা, চিকিত্সা, পর্যটন এবং কর্মসংস্থানের উদ্দেশে বিদেশে গমন করে থাকে। এই সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় ঢাকায় বহিঃগমন ও পাসপোর্ট অফিস প্রচণ্ড কাজের চাপে রয়েছে। প্রধান কার্যালয়ের কাজের চাপ কমাতে সরকার ঢাকায় তিনটি এবং চট্টগ্রামে দুটিসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৬৭টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতোমধ্যে ১৫ জেলায় ১৫টি পাসপোর্ট অফিস নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। বতর্মানে ১৯টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট ভবন নির্মাণের কাজ চলমান। অবশিষ্ট ৩৩টি অফিসের মধ্যে অপেক্ষাকৃত অধিক গুরুত্বপূর্ণ জেলায় ১৭টি পাসপোর্ট অফিস নির্মাণের জন্য প্রকল্পটির প্রস্তাব করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯টি পাসপোর্ট অফিস নির্মাণ প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। যে ১৮ জেলায় ১৯টি পাসপোর্ট অফিস ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে সেগুলো হল-ঢাকার উত্তরা ও যাত্রাবাড়ী, নরসিংদী সদর, কিশোরগঞ্জ সদর, মানিকগঞ্জ সদর, মুন্সীগঞ্জ সদর, টাঙ্গাইল, কক্সবাজার, রাঙামাটি, চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ, ফেনী, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, পাবনা, বগুড়া, কুষ্টিয়া সদর এবং পটুয়াখালী সদর।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.