করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সবাই সচেতন। তাই নিয়মিত বাসাবাড়িতেও জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করা চাই। কিছু টিপস বাতলে দিচ্ছেন অনয় আহম্মেদ
♦ ঘর খোলামেলা রাখতে হবে। জানালা খুলে দাও, যাতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস আসতে পারে। দিনে একবার সব আসবাব ঝেড়ে-মুছে পরিষ্কার করবে। কিছুদিন পর পর সোফার কাভার, বিছানার তোশক রোদে দিতে হবে। ফলে ব্যাকটেরিয়াসহ জীবাণু মরে যাবে।
♦ দরজা-জানালার পর্দাসহ আসবাবের কাভার ধোয়ার সময় ডিটারজেন্টের সঙ্গে সামান্য পরিমাণ জীবাণুনাশক, যেমন স্যাভলন কিংবা ডেটল মিশিয়ে নিতে পারো। কাপড় রোদে বা ফ্যানের বাতাসে পরিপূর্ণ শুকাতে হবে। হালকা ভেজা বা স্যাঁতসেঁতে ভাব যাতে না থাকে। কারণ স্যাঁতসেঁতে কাপড়ে ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে।
♦ সঙ্গে পকেট সাইজ হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। বাইরে থেকে এসে বাসার দরজার হাতল না ধরে আগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত কোরো। তারপর দরজা খুলো। অন্যদিকে বাসার আসবাব জীবাণুনাশকযুক্ত পানি দিয়ে সপ্তাহে একবার মুছতে পারো। তবে খেয়াল রাখতে হবে, আসবাবে যেন পানি লেগে না থাকে। আর বাসার মেঝে প্রতিদিন স্যাভলন বা ডেটল দিয়ে মুছে ফেলতে হবে।
♦ ফুলদানির ফাঁকেও জীবাণু জন্মাতে পারে। তাই নিয়মিত পরিষ্কার রাখো। জীবাণুনাশক স্প্রে করতে পারো। রান্নাঘরেও অনেক জীবাণু জন্মাতে পারে। তাই রান্নাঘরকেও প্রতিদিন জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।