মিমের ৫০০ পরিবারের দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণায় বিপাকে এলাকাবাসী

একটি দৈনিকে দুস্থদের ত্রাণ দেয়ার সাক্ষাৎকারে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার ও বর্তমান সিনেমা জগতের আলোচিত নায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম বলেছেন, ‘মামার মাধ্যমে ৫০০ পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছি।’ রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মিমের মামা বাড়ি এলাকায় ৫০০ পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার কথা পত্রিকায় প্র০কাশ হওয়ার ওই এলাকায় ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছেন না। অনাহারে অর্ধাহারে কাটাচ্ছেন গ্রামবাসীরা।

বিদ্যা সিনহা মিম ৩ এপ্রিল এক সাক্ষাৎকারে সাতটি প্রশ্নের উত্তর দেন। এর মধ্যে একটি প্রশ্নের জবাবে মিম বলেন, ‘অনেক তারকাই করোনা মোকাবেলায় সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাড়িয়েছেন। তবে আমি শো অফ পছন্দ করিনা। তাই কেউ জানেও না। এর মধ্যে রাজশাহীতে ৫০০ পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছি। আমার মামার মাধ্যমে নিয়মিত তাদের নগদ টাকা ও খাবার দিচ্ছি। কিন্তু তার জন্য কি ছবি তুলতে হবে! মিডিয়াতে জানাতে হবে!’

এদিকে পত্রিকায় মিমের এই সাক্ষাৎকারের পর মামার বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের লোকজন অবাক হয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হবার কয়েকদিন পর এলাকার ১২৫ জনকে চার কেজি চাল ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়েছেন। মিমের মামা শিক্ষক স্বপন বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি। এখন পর্যন্ত ১২৫ জনকে আমরা সহায়তা দিয়েছি।

তবে মিম দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলেছেন, নিয়মিত সহায়তা দিচ্ছেন এমন কথা বলার পর বিপাকে পড়েছেন ওই এলাকার মানুষজন। মিমের এমন ঘোষণা কাজে মিল না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাঘা উপজেলা হিন্দু ঐক্য পরিষদের সভাপতি সুজিত কুমার বাকুপাণ্ডে। তিনি বলেন, ৫০০ পরিবারের দায়িত্ব মানে একদিনের চাল দেওয়া নয়, নিয়মিত খাবার সরবরাহ সহ অন্যান্য দায়িত্ব পালন করা। মিম দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দিতে পারেন পত্রিকায় আর দায়িত্ব নিতে পারছেন এ কেমন কথা? এখন তো এইসব গ্রামে কেউ ত্রাণ দিতে আসছে না, এর দায় কে নেবে?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি বলেন, ‘মিমের মামা এবং চাচার বাড়ি একই গ্রামে। প্রকৃতপক্ষে চাচারা গরিব, তাই মিম যা কিছু করেন সবই মামাদের মাধ্যমে।’

বড় মামা চন্ডিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্রী স্বপন শাহা বলেন, আমরা চার কেজি চাল, হাফ কেজি ডাল এবং এক কেজি করে আলু বিতরণ করেছি। আমার কাছে তালিকা রয়েছে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.