এভিয়েশন নিউজ: উড়োজাহাজ ভাড়ার সঙ্গে সব ধরনের কর পরিশোধের পরও ছুটিতে যাওয়া প্রবাসীরা বিদেশে ফেরত আসার সময় বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি প্রবাসী বাংলাদেশিরা এ অভিযোগ করেছেন।
তারা বলছেন, সব ধরনের কর দেওয়ার পরও নামে বেনামে বাড়তি অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। জেদ্দা প্রবাসী আবু আল কাসিম মোহাম্মদ বলেন, প্লেনের টিকেট ক্রয়ের সময় সব কর পরিশোধ করার পরও কর্মস্থলে ফেরার সময় ১ হাজার টাকা বাড়তি নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশ থেকে বিদেশে কর্মস্থলে ফেরার সময় পকেট একেবারে শূন্য থাকে। আর এখানে ১ হাজার টাকার জন্য লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছে।
ক্ষোভের সঙ্গে আবু আল কাসিম মোহাম্মদ বলেন, প্লেনের টিকেটে যাত্রীদের মোবাইল নম্বর থাকে। ফ্লাইটের ২/১দিন আগে এয়ারলাইন্সগুলোর পক্ষ থেকে ফোন কিংবা পত্র/পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিলে এভাবে হয়রানির শিকার হতে হতো না।
অ্যারোমেট সার্ভিস লিমিটেড লেখা রশিদে টাকা নেওয়া হলেও সেখানে টাকা নেওয়ার খাত উল্লেখ নেই বলে তিনি জানান। গত ১০ আগস্ট তুর্কি এয়ারলাইন্সের একটি রশিদ (নম্বর- ১৩৩৩৩) আমাদের হাতেও এসেছে। রিয়াদ প্রবাসী ব্যবসায়ী মো. মিজান বলেন, আমি কিছুদিন পরপরই দেশে যাই। কয়েকদিন আগে পদ্মাসেতুর জন্য ৫০০ টাকা নেওয়া হলো তখনও হয়রানির শিকার হয়েছি।
তিনি অভিযোগ করেন, এবারও এই এক হাজার টাকা কেন নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে কর্মকর্তারা এর জবাব না দিয়ে উল্টো টাকা আদায়ের জন্য কঠোর ভাষা ব্যবহার করছেন। এমনকি ১ হাজার টাকার জন্য ৫০ হাজার টাকা দামের মোবাইল রেখে দেওয়ারও হুমকি দিচ্ছেন কর্মকর্তারা। বিষয়টি আগে জানালে এভাবে বিমানবন্দরে সামান্য টাকার জন্য অপমানিত হতে হতো না।
শুধু মিজান বা কাসিমই নয় প্রতিদিন হাজার হাজার প্রবাসী বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হচ্ছেন এভাবে।