এভিয়েশন নিউজ: বিমান যাতায়াত বাড়ালেও সে হারে বাড়ছে না যাত্রী। তাই লোকসানও কাটিয়ে উঠতে পারছে না ঢাকা-রাজশাহী-সৈয়দপুর রুটে চলাচলকারী বিমান সংস্থা ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ।
প্রথম দিকে সপ্তাহে দুই দিন যাত্রীবাহী বিমান চলাচল শুরু হলেও চাহিদা বাড়ায় সপ্তাহের সাত দিনই চলাচল শুরু হয়। এখন প্রত্যাশিত যাত্রী না পাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে বেসরকারি এ বিমান সংস্থার। তবে যাত্রী বাড়লে এ ক্ষতি কটিয়ে ওঠা যাবে বলে মনে করছেন ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের কর্মকর্তারা।
রাজশাহী বিমানবন্দর সূত্র মতে, ১৯৮৪ সালে উদ্বোধন করা রাজশাহী শাহ মখদুম বিমানবন্দরে ২০০৭ সালে বিমান চলাচল শুরু হলেও লোকসানের মুখে তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২০১১ সাল থেকে ঢাকা-রাজশাহী-সৈয়দপুর রুটে যাত্রীবাহী বিমান পরিচালনা শুরু করে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ। শুরুর দিকে সপ্তাহে মাত্র দুটি করে বিমান চলাচল করলেও যাত্রী বাড়তে থাকায় সপ্তাহে সাত দিনই একটি করে বিমান চলাচল করতে থাকে।
রাজশাহী শাহ মখদুম বিমানবন্দর সূত্র মতে, সপ্তাহের তিন দিন শুক্রবার থেকে রবিবার ঢাকা-রাজশাহী-সৈয়দপুর-ঢাকা রুটে বিমান চলাচল করে। বাকি চার দিন সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার সরাসরি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় বিমান। এই চার দিন ঢাকা-সৈয়দুপর-রাজশাহী-ঢাকা রুটে বিমান চলাচল করে।
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের রাজশাহী স্টেশন ম্যানেজার জামাল উদ্দিন বলেন, ‘এখন গড়ে প্রতিদিন রাজশাহী থেকে ১৩-১৪ জন যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে। আর সৈয়দপুর থেকে পাওয়া যাচ্ছে ২৫ থেকে ২৭ জন। এই রুটে যাত্রীবাহী বিমান চলাচল করছে ৬৪টি আসনের। ফলে এখনো আমরা লোকসানের মধ্যেই আছি। তবে যাত্রীর সংখ্যা বাড়লে হয়তো আমাদের লোকসান থাকবে না।’
রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, ‘এই বিমানবন্দর থেকে সপ্তাহে অন্তত একটি কার্গো বিমান চলাচল করলে এখানকার অনেক পণ্য দ্রুত বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে। এতে ব্যবসায়ী ও কৃষক উভয়ে লাভবান হবে।’