রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল থেকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হওয়া এক রোগী রাতের আধারে পালিয়ে গেছে। শনিবার দুপুরে ওই রোগীকে পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। রবিবার সকাল থেকে তাকে হাসপাতালের ওই ওয়ার্ডে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি রাজশাহী নগরীর বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে রামেক হাসপাতালের করোনা চিকিৎসা টিমের প্রধান অধ্যাপক ডা. আজিজুল হক আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, করোনার স্ট্রং সাসপেক্ট ছিল না ওই রোগীর। তাই তাকে অবজারভেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল। করোনার স্ট্রং উপসর্গ থাকলে তাকে আইসোলেশনে পাঠানো হত। ওই রোগীর হার্টের সমস্যার জন্য ফুঁসফুসে পানি জমেছে, এমনটি সন্দেহ করেছিলেন তারা। তিনি হয়তো এখানে থাকতে রাজি নন, কিন্তু ওই রোগী চিকিৎসকদের না বলেই চলে গেছেন।
তিনি আরও জানান, এটা মূলত আতঙ্কের কারণে হচ্ছে। তারা আতঙ্কিত হয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। একজন রোগী হাসপাতাল থেকে চলে যেতে চাইলে, তিনি লিখিতভাবে জানিয়ে চলে যেতে পারেন। এটা তার অধিকার আছে। তবে একেবারে না জানিয়ে যাওয়াটা তাদের জন্য কষ্টকর। কারণ ওই রোগীকে পরে ট্র্যাক করা যায় না।
উল্লেখ্য, গত ১০ দিনে রামেক হাসপাতাল থেকে এনিয়ে চারজন রোগী পালিয়ে গেছেন। তারা সকলে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।