‘ব্যক্তিগত জিনিসে কাউকে হাত দিতে দিত না সে’

গত শনিবার রাতে ঢাকায় খুনি মাজেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর গতকাল সোমবার কলকাতার বর্তমান পত্রিকা ‘ঘাতকের ডেরা’ শীর্ষক এক ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ শুরু করেছে। প্রথম প্রতিবেদনের শিরোনাম ‘বঙ্গবন্ধুর ঘাতক মাস্টারমশাই! বিশ্বাস হচ্ছে না পার্ক স্ট্রিটের সেই মহল্লার।’

বর্তমান পত্রিকার ওই প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, আব্দুল মাজেদ ২০১১ সালে তাঁর থেকে ৩২ বছরের ছোট উলুবেড়িয়ার সেলিনা বেগমকে বিয়ে করেন। তাঁদের ছয় বছরের এক মেয়ে আছে। কিছুদিন ধরেই মাজেদের শরীরটা ভালো যাচ্ছিল না। গত জানুয়ারি মাসে কলকাতায় পিজি হাসপাতালে তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করান।

সেলিনা বেগম পুলিশকে বলেন, ‘ব্যাগের মতো তাঁর অন্যান্য ব্যক্তিগত জিনিসে কাউকে হাত দিতে দিত না মাজেদ। মহল্লায় খুব একটা মেলামেশা করত না সে। টিউশনির পাশাপাশি বড়জোর এলাকার এক চায়ের দোকান, রেশনের দোকানে আড্ডা দিত মাজেদ। বাড়ির মূল দরজায় সব সময় তালা লাগানো থাকত। বাইরের কাউকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হতো না। এভাবেই ১৮-১৯ বছর কলকাতায় আত্মগোপন করেছিল আব্দুল মাজেদ।’

বর্তমান পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা ৪ মিনিটে বেডফোর্ড লেনের বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর মাজেদের যাত্রাপথের একাংশের সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের হাতে এসেছে।

ভয়ংকর ঘাতক আব্দুল মাজেদ ভারতে লুকিয়ে থাকতে পারেন—এমন দাবি বাংলাদেশ বিভিন্ন সময় ভারতের কাছে তুলেছে। ভারত এ বিষয়ে বাংলাদেশের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য চেয়েছিল। গত ৭ এপ্রিল ঢাকায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর প্রশ্ন উঠেছিল, পলাতক ঘাতক আব্দুল মাজেদ হঠাৎ কিভাবে দেশে এলো? জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছিলেন, হয়তো করোনাভাইরাসের ভয়ে চলে এসেছেন।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.