নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ইতালি প্রবাসী মোরশেদ আলমের (৪৫) অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর (২৭) করোনা পজেটিভ এসেছে। তবে ওই নারীর শরীরে কোন উপসর্গ না থাকায় তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে পরিবারের আরও ১৯ সদস্যের।
বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাইনুল ইসলাম। এ ঘটনায় ওই এলাকাবাসীর মধ্যে করোনা আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ নিয়ে নোয়াখালীতে করোনা আক্রান্ত হলেন ২ জন।
ডা. মাইনুল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবার সোনাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম চাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা ইতালি প্রবাসী মোরশেদ আলম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরপর তার পরিবারের ১৯ জনের মধ্যে ১৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড এনফেকসাস ডিজিস (বিআইটিআইডি) চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে ৮ জনের রিপোর্ট এসেছে। এর মধ্যে শুধু ওই নারীর করোনা পজেটিভ এসেছে, বাকী ৭ জনের নেগেটিভ। অন্য ৫ জনের রিপোর্ট এখনো আসেনি। বাড়ির আরও ৬ সদস্যের নমুনা মঙ্গলবার সংগ্রহ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, করোনা আক্রান্ত ওই নারী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তবে তার শরীরে করোনার কোন উপসর্গ না থাকায় তাকে আইসোলেসনে রাখার দরকার হয়নি। বর্তমানে তাকে সোনাইমুড়ী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনী চিকিৎসক ডা: ফারজানা আক্তারের তত্ত্বাবধানে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি তার বাড়ীতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভ্রাম্যমাণ মোবাইল টিম কাজ করছে। ওই নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।