মন্ত্রীর সেই গানম্যান আটক

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রীর গানম্যান পুলিশের এএসআই কিশোর চন্দ্র সরকারকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার বেলা সোয়া একটার দিকে আশুলিয়ার শিমুলিয়ায় তার বন্ধু তারাইরুলের বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।

গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে কিশোর চন্দ্র সরকার তার বন্ধু মো. শহিদকে গুলি করে হত্যা ও অপর বন্ধু মঈদ উদ্দিনকে গুলিতে আহত করে রাতেই পালিয়ে আশুলিয়া এলাকায় তার বন্ধুর বাসায় চলে যায়। পরে পুলিশের কয়েকটি টিম তাকে আটক করার জন্য রাত থেকেই অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহার করে আশুলিয়ার শিমুলিয়া এলাকায় কিশোরের এক বন্ধুর বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। তাকে কালিয়াকৈর থানা পুলিশের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, আটককালে তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও ছয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

উল্লেখ্য, গাজীপুরের কালিয়াকৈর কুতুবদিয়া এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর ১ আসনের সাংসদ আ ক ম মোজাম্মেল হকের গানম্যানের গুলিতে কালিয়াকৈর থানার সিমান্তবর্তী এলাকা টাঙ্গাইলেরর মির্জাপুর এলাকার আইজগানা গ্রামের সবুর উদ্দিনের ছেলে মো. শহিদ (৩০) নিহত হন এবং গুলিবিদ্ধ হলেন একই এলাকার মো. মঈন উদ্দিন (৩২)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তারা এলাকায় আড্ডা দিতেন এবং নেশা করে বেড়াতেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে আটটার দিকে কুতুবদিয়া এলাকার লায়ন হাবিবের একটি পতিত জমিতে তারা বসে আড্ডা দেয় এবং নেশা করে। পুলিশ ধারনা করছে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বা নেশা গ্রস্ত হয়ে কোন বিষয় নিয়ে ঝগড়ার জের ধরে কিশোরের কাছে থাকা পিস্তল দিয়ে শহিদ ও মঈনকে গুলি করে। এতে শহিদের বুকের ডান পাশে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং মঈনের পেটের এক পাশে গুলিবিদ্ধ হয়। গুলির শব্দ পেয়ে এলাকাবাসী ছুটে আসলে গানম্যান কিশোর দৌড়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ আহত মঈনকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এছাড়া নিহত শহিদের লাশ উদ্ধার করে প্রথমে কালিয়াকৈর থানায় নিয়ে রাখা হয়। পরে সেখান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.